জেলেই বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে চন্দনকে মেরে ফেলতে পারে তৃণমূল! বিস্ফোরক BJP বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে সিবিআই-র (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার বাসিন্দা রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal)। প্রসঙ্গত, বহুদিন থেকেই দুর্নীতি মামলায় ঘুরপাক খাচ্ছে রঞ্জনের নাম। সম্প্রতি তার বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অবশেষে গ্রেফতার হয় রঞ্জন মণ্ডল। তবে এদিনই চন্দনের গ্রেফতারি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) স্বপন মজুমদার।

ধৃত চন্দনের প্রানহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, জেলের মধ্যে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে অভিযুক্তকে মেরে ফেলতে পারে এই তৃণমূল (TMC) সরকার। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার সুটিয়ায় একটি সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে দাঁড়িয়ে বিধায়ক বলেন, চাকরি দুর্নীতির একটি গোড়া, চন্দন মণ্ডল আমাদের মহাকুমায় আছে। তাকে সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে। এরপরেই রাঘববোয়ালদের নাম সামনে আসবে। তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে চন্দনকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

এরপর ভরা সভা থেকেই তদন্তকারীদের উদ্দেশ্য করে বিধায়ক বলেন, “চন্দন মণ্ডলকে সামলে রাখবেন। তাকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে এই তৃণমূল সরকার। কারণ তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে হবে।” বিধায়কের আশঙ্কা নিয়োগ দুর্নীতিতে চন্দন চুনোপুটি মাত্র। তবে তাকে জেরা করে অন্য বড় মাথা সামনে আসতে পারে, সেই কারণেই তাকে মেরে ফেলে তথ্য লোপাট করতে পারে তৃণমূল।

শুধু তাই নয়, এদিন তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে স্বপন মজুমদার বলেন,” আমরা বাংলার সরকারকে বিশ্বাস করি না। এরা ছলনাময়ী। এরা জেলেও কিছু করতে পারে। সিবিআই-এর হেফাজতেও এরা লোক ঢোকাতে পারে। আসল চোর সামনে আনার জন্য এদের সুরক্ষা দেওয়ার দরকার আছে।”

bjp mla

প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রে অভিযোগ ধৃত চন্দন মণ্ডল উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলা ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছে। প্রাথমিক শিক্ষক, কখনও বা গ্রুপ ডি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দুর্নীতির হাত আছে বলেই অভিযোগ। পাশাপাশি প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি সিবিআই এর। এই সূত্রেই তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর