প্লাস্টিকের পুতুলের সাথেই সংসার করছেন ব্যক্তি! তৃতীয়বারের জন্য বাবা-মা হতে চলেছেন দম্পতি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে নেটমাধ্যমের (Social Media) বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আমরা সকলেই কম-বেশি সক্রিয় থাকি। এমতাবস্থায়, সেখানে মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয় যেগুলি রীতিমতো অবাক করে দেয় সবাইকেই। এমনিতেই আমরা বাচ্চাদের মধ্যে পুতুলের প্রতি আসক্তি পরিলক্ষিত করেছি। কিন্তু, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের এমন একজন ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁর সম্পর্কে জানার পর কার্যত হুঁশ উড়ে যাবে আপনার।

মূলত, ওই ব্যক্তি একটি প্লাস্টিকের পুতুলকেই তাঁর জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। হ্যাঁ, বিষয়টি জেনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এই কান্ডই ঘটিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ডেইলি স্টার নিউজ ওয়েবসাইটের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি কলম্বিয়ায় থাকেন। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির একটি টিকটক অ্যাকাউন্টও রয়েছে (@montbk959)। যেটিতে তিনি নিয়মিত ছবিও শেয়ার করেন।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ব্যক্তিটি তাঁর পুতুলের নাম রেখেছেন ন্যাটালিয়া। মূলত, ওই ব্যক্তি বিয়ে করেননি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি যখন ন্যাটালিয়াকে প্রথম দেখেছিলেন তখনই তার প্রেমে পড়ে যান।

তৃতীয়বারের মতো বাবা-মা হতে চলেছেন: সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, ওই দম্পতির দু’টি সন্তানও রয়েছে। এমনকি, ন্যাটালিয়া ফের মা হতে চলেছে। উল্লেখ্য যে, তাঁদের প্রথম দু’টি শিশু আসলে প্লাস্টিক ও কাপড়ের তৈরি দু’টি পুতুল। এমতাবস্থায়, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি ন্যাটালিয়ার একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে একটি টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, নতুন অতিথির নাম দেওয়া হবে স্যামি। কারণ, সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে ওই দম্পতিকে “পাপা ডি স্যামি” এবং “মামা ডি স্যামি” (স্যামির বাবা এবং স্যামির মা) লেখা টি-শার্ট পরে থাকতে দেখা গেছে।

1604399 daily star

ভিডিও ভাইরাল হয়েছে: এই প্রসঙ্গে ডেইলি স্টার অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ওই পুতুলের “গর্ভাবস্থার” বিষয়টি সামনে আসার ভিডিওগুলির মধ্যে একটি ২.২ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে এবং ৭২ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। অপরদিকে, অন্য একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৩৭ হাজার বার দেখা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর