বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। পাহাড়প্রমান দুর্নীতিতের অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যের সকল প্রান্ত থেকে। যা নিয়ে সরকারের সমালোচনায় সরব বঙ্গের বিরোধী দলগুলি থেকে সাধারণ মানুষ। এবার দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা সরকারকে (West Bengal Government) বিঁধলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)।
এদিন শিবরাত্রি উপলক্ষে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে যান দেশের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister of India) ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেখানে গিয়েই বাংলার সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে এদিন মমতা সরকারকে একহাত নেন মোদীর মন্ত্রী।
ঠিক কী বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী? এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের সব থেকে বড় অপরাধ হল, সরস্বতীর এই ভূমি বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে সব রকমের অব্যবস্থাকে প্রশ্রয় দেওয়া। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, শিশুদের বই ও পোশাকের টাকা নিয়ে দুর্নীতি।”
রাজ্য সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এরা শিক্ষাকে শিক্ষা মনে করে না। তোলাবাজি, কাটমানি আদায়ের একটা রাস্তা বলে মনে করে। এদের দলের বড় বড় নেতা জেলে আছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সব কিছু বাংলার মানুষ দেখেছে। মমতা দিদির রাজত্বে শিক্ষা অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে’।
তবে রাজ্যে হওয়া বিপুল পরিমান নিয়োগ দুর্নীতির সাথে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই বলেই দাবি শাসকদলের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় গতবছর থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অন্যতম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শ্রীঘরেই দিন কাটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক তথা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে হুগলির যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে গঠিত এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রায় সমস্ত সদস্যও জেলবন্দি।