বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোট্ট একটা ভাঙা ওষুধের দোকান নিয়েই কোনওমতে চলত সংসার। কিন্তু রাজ্যে সরকারের পালাবদলের পর থেকেই বদলে যায় ওষুধের দোকানের মালিকেরও দিন যাপন। আরামবাগের মুথাডাঙার শাহিদ ইমাম রাতারাতি হয়ে ওঠেন কোটি টাকার মালিক। বর্ধমান শহরে ড্যান্সবার, আরামবাগে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি থেকে শুরু করে কলকাতা ও মুম্বইয়ে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট -সব কিছুই তৈরী হয়েছিল চোখের নিমেষে, কয়েক বছরের ব্যবধানে।
এবার চাকরি বিক্রির অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়া ছ’জনের মধ্যে রয়েছে আরামবাগের দাপুটে তৃণমুল নেতা শাহিদের নামও।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শাহিদ ইমাম কী চাকরি বিক্রির টাকাই টলি ও বলিউডে লাগিয়েছে? সিবিআইয়ের দুঁদে আধিকারিকরা সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন। জানা গিয়েছে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের খলৎপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন শাহিদ।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের তরফে দাবী করা হয়েছে যে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিয়েই চাকরি বিক্রির লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের নামে করেছেন আরামবাগের মহারাজ। আর সেই টাকাতেই ড্যান্সবার, বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি। তিনটি বাংলা সিনেমা প্রযোজনার সাথে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, টলিপাড়ায় অভিনয়ও করেছে শাহিদ। টলিউডের পাশাপাশি শুভম নামে আত্মপ্রকাশ বলিউডেও। বেশকয়েকটি মিউজিক ভিডিও ও সিনেমাতেও নজর কেড়েছিলেন নেটিজেনদের।
সূত্রের খবর, বাম আমলে শাহিদের বাবা হাসান ইমাম দু’বার তৃণমুলের টিকিটে বিধানসভা ও লোকসভায় প্রার্থী হন। আরামবাগের বিজেপি কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “হাসান ইমাম একজন খুব ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তিনি বিরোধী পার্টির লোক হলেও, এটাই বলব যে আরামবাগের মানুষ তাঁর সম্বন্ধে মানুষ ভালো ছাড়া কিছু জানত না। ছেলে শাহিদ যে এত তাড়াতাড়ি তাঁর যশ খ্যাতিকে মাটিতে মিশিয়ে দেবে এটা ভাবা যায়নি।”