বাংলা হান্ট ডেস্ক : বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে (DA) আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। গত দু দিন ধরে যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল, তা যথেষ্ট সফল হয়েছে বলেই দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। এবার এই আন্দোলনের উত্তাপ আরও বাড়াতে আগামী ৯ মার্চ সারা রাজ্য জুড়ে সমস্ত সরকারি দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিলেন আন্দোলনকারীরা। শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও বিশেষ কিছু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি কর্মীদের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে।
জানা যাচ্ছে, গত দুদিনের এই কর্মসূচিতে বেশ কিছু জায়গায় সরকার আন্দোলনকারীদের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করেছে, মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার, সব সরকারি দফতরে ধিক্কার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দুপুরের কর্মবিরতির সময় কর্মীরা ব্যাচ পরে ধিক্কার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ১২ দিনে পড়ল সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের অনশন। আন্দোলনকারীরা জানান, আগামী ৯ মার্চ দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে। নাহলে বুধবারই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হত বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘সরকার কোনও পদক্ষেপই করছে না, তাই ধর্মঘট ডাকতে হচ্ছি। আমরা ২৬ দিন ধরে বসে আছি এখানে। ১২ দিন ধরে অনশন চলছে। তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ দেখিনি।
এই ধর্মঘটের বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে আমরা দেখেছি, বনধ, ধর্মঘট করে কীভাবে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর বনধের সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। ফলে কর্মসংস্কৃতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘কেন্দ্রের অসহযোগিতা, কোভিড, সবকিছু সত্ত্বেও বাংলায় ৪০ শতাংশ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজ্য সরকার সবসময়ই সরকারি কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’
এরই সঙ্গে কেন্দ্র লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন শান্তনু। তিনি এদিন বলেন, ‘বনধ, হরতাল করে পুরনো কালো দিনে ফিরে না গিয়ে, সবার উচিত একসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্র টাকাগুলো দিলেই সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’