বাংলাহান্ট ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) ইস্যুতে একাধিক ASEAN দেশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে চিন (China)। এরই মধ্যে একটি বড়সড় পদক্ষেপ করল ভারত (India)। এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) একটি সাবমেরিন পাঠিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জাকার্তায় পৌঁছেছে ভারতীয় সাবমেরিন ‘সিন্ধুকেসরি’ (INS Sindhukesari)।
এই পদক্ষেপ ASEAN দেশগুলিতে ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি করার একটি নীতি বলেই মনে করা হচ্ছে। সুন্দা উপসাগর ধরে জাকার্তায় পৌঁছেছে ৩০০০ টনের এই সাবমেরিন। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ আরও গাঢ় করতে INS Sindhukesari-কে স্বাগত জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নৌসেনা।
নৌসেনা সূত্রে খবর, এই প্রথম কোনও সাবমেরিনকে এত দূর পাঠাল ভারত। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। একইসঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান এবং ব্রুনেইয়ের মতো ASEAN দেশগুলির সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তাদের। এই দেশগুলিও দক্ষিণ চিন সাগরের কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে।
এই কারণেই এই সাগরে একাধিক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে নিজেদের নৌসেনা মোতায়েন করছে চিন। গত সপ্তাহেই ফিলিপিন্সের ২১ জন মেরিন জওয়ান ব্রাহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্রের (Brahmos missile) অ্যান্টি-শিপ সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের ট্রেনিং সম্পন্ন করেছেন। একইসঙ্গে চিনও লেজার আলো ব্যবহার করে ফিলিপিন্সের নৌসেনার উপর হামলা চালিয়েছে।
এই আবহে ইন্দোনেশিয়ায় নিজেদের সাবমেরিন পাঠাল ভারত। প্রসঙ্গত, ফিলিপিন্সের নৌসেনার ওই প্রশিক্ষণ ২৩ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি এই প্রশিক্ষণ চলেছিল। এই প্রশিক্ষণে ফিলিপিন্সের নৌসেনা জওয়ানদের ব্রাহ্মোসের খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানানো হয়। যেমন ব্রাহ্মোসের কার্যকারিতা ও রক্ষণাবেক্ষণের মতো বিষয় জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ফিলিপিন্সকে ব্রাহ্মোস ক্ষেপনাস্ত্র বিক্রি করেছে ভারত। এর আগে সিঙ্গাপুরের নৌসেনার সঙ্গে ‘অগ্নি ওয়ারিয়র’ নামক এক মহড়া দিয়েছিল। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও ভারতীয় সামরিক বাহিনী যুদ্ধের মহড়া দিয়েছিল। এর থেকে পরিষ্কার যে ভারত ASEAN দেশগুলির সাহায্য করছে। এই সব কিছুকেই চিনের মোকাবিলা করার একটি নীতি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নৌসেনা মিলে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সীমান্তে টহলও দিয়ে থাকে।