অসম্ভব সুন্দর! একঘেয়ে দিঘা-পুরী ছেড়ে ঘুরে আসুন বাড়ির কাছে ‘মিনি তিব্বত” থেকে, পাবেন স্বর্গসুখ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাহাড়-জঙ্গল আর নদী, সবই যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে সেই রাজ্যে। ভৌগলিক দিক থেকে বিচার করলে আমাদের রাজ্যের পাশেই সেই রাজ্য। কথা হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য ছত্রিশগড় (Chhattisgarh) নিয়ে। ছত্তিশগড়ে এমন অনেক পর্যটন স্থান (Tourist Spot) রয়েছে যেখানে আপনি দুর্দান্তভাবে ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন। তবে, ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের মধ্যে যে জায়গাটা সবচেয়ে বেশি আপনার নজর করবে সেটা হলো শৈলশহর মাইনপাট। এই মাইনপাটকে (Mainpat) বলা হয় ‘ছত্তিশগড়ের তিব্বত’।

কেউ কেউ আবার মাইনপাটের অপূর্ব সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ভালোবেসে একে ‘ছত্তিশগড়ের সিমলা’ বলেও ডাকেন। রাজধানী বিলাসপুর থেকে সূর্যগড় জেলার ছোট্টো শৈলশহর মাইনপাটের দূরত্ব প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার। প্রকৃতিদেবী যেন এই মাইনপাটকে খুব যত্ন করে সাজিয়েছেন। রাজ্যের চারদিকে সবুজে সবুজ। মনে হয় যেন তুলিতে আঁকা ল্যান্ডস্কেপ। উঁচু পাহাড় আর ঘন জঙ্গলে ঘেরা হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালেও এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে। এছাড়া শীতের মৌসুমে এখানকার তুষারপাত আপনাকে সিমলার কথা মনে করাবে।

   

Mainpat

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফিট উপরে অবস্থিত বিন্ধ্য পর্বতমালার বুকে অবস্থিত মাইনপাট শহরে রয়েছে একটি বৌদ্ধমঠ। এখানকার বিখ্যাত বুদ্ধ মন্দির সম্পর্কে বলা হয় যে, ১৯৬২ সালে তিব্বতি উদ্বাস্তুরা এখানে বসতি স্থাপন করেছিল। তাই তিব্বতিদের জনজীবন এবং বৌদ্ধ মন্দির এখানে আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র। এই কারণে এই স্থানটি ‘ছত্তিশগড়ের তিব্বত’ নামেও পরিচিত। এছাড়াও এই এলাকাটি কার্পেট এবং পামালিয়ান কুকুরের জন্যও খুব বিখ্যাত। শুধু তাই নয়, এখানে রয়েছে বক্সাইটের খনিও যেখান থেকে বাল্কোর জন্য বক্সাইট তোলা হয়।

মাইনপাটে রয়েছে একটি সুন্দর ঝরনা। নাম টাইগার পয়েন্ট। স্থানীয়দের বিশ্বাস অতীতে এখানে বাঘেরা জল খেতে আসত। টাইগার পয়েন্ট পৌঁছোতে গেলে প্রায় দেড়শো সিঁড়ি নীচে নামতে হবে। মাইনপাট থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দীরে রয়েছে মেহতা পয়েন্ট নামে একটি ভিউ পয়েন্ট। এখানে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভালো লাগবে। মছলি পয়েন্ট ও মছলি পয়েন্ট ঝরনা মাইনপাটের আরেকটি দর্শণীয় স্থান। জঙ্গল, নদী, জলপ্রপাত সবই রয়েছে এখানে।

Mainpat

মাইনপাট এক কথায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ভাণ্ডার। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানকার পর্যটন ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত না হওয়ার জন্য আপনাকে পায়ে হেঁটে এলাকা ঘুরতে হবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষজনেদের জিজ্ঞেস করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। মাইনপাট অম্বিকাপুর/সুরগুজা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেজন্য আপনি ময়নাপাট অম্বিকাপুর-সীতাপুর রাস্তা দিয়ে যেতে পারেন। এছাড়া, দারিমা গ্রাম হয়েও যেতে পারেন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, আপনি যদি দারিমা বিমানবন্দর হয়ে ময়নপাট যান, তবে আপনি পথে পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্যও উপভোগ করতে পারবেন।

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর