বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের হানা দিল বার্ড ফ্লু (Bird Flu)-র আতঙ্ক। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বোকারো জেলার একটি সরকারি পোলট্রি ফার্মে বার্ড ফ্লু ধরা পড়ার পর, সরকার প্রায় ৪,০০০ হাঁস-মুরগি নিধন অর্থাৎ কালিংয়ের (Culling) প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, বোকারোতে শুরু হয়েছে মুরগি ও হাঁস নিধন। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই সেখানে ৮০০ মুরগির প্রাণ গিয়েছে বার্ড ফ্লু-র জেরে। যার ফলে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, লোহানচলের ফার্মের কড়কনাথ নামের প্রোটিন সমৃদ্ধ জাতের মুরগিতে H591 ভাইরাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাঁচির ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড প্রোডাকশনের ডিরেক্টর ডঃ বিপিন বিহারী মেহতা জানিয়েছেন, ওই পোলট্রি ফার্মের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মুরগি এবং হাঁস সহ মোট ৩,৮৫৬ টি পাখি নিধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে বলে রবিবারও পাখি নিধনের কাজ চলবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি ফার্মের পাখি মারা যাওয়ার পর সেগুলির নমুনা পরীক্ষার জন্য ভোপালের জাতীয় উচ্চ সুরক্ষা প্রাণী রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই বার্ড ফ্লু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। মূলত, মুরগিগুলি H5N1 আভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
পাশাপাশি, ডঃ বিপিন বিহারী মেহতা জানিয়েছেন, যাঁদের মুরগি ও হাঁস নিধন করা হচ্ছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ফার্মের ১ কিলোমিটার ব্যাসার্ধকে “ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা” এবং ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে এলাকাগুলিকে “নজরদারি অঞ্চল” হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, ওই জেলায় মুরগি ও হাঁস বিক্রি নিষিদ্ধও করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) অরুণ কুমার সিং আগেই বলেছিলেন যে, রাজ্য আপাতত সতর্ক রয়েছে। এদিকে, জেলার সীমান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি বড় ফার্মে মুরগি ও হাঁসের নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের নমুনা নিতেও বলা হয়েছে। সদর হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্তদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডও। এই প্রসঙ্গে আধিকারিকরা জানিয়েছেন বার্ড ফ্লু দ্বারা মানুষের সংক্রমণের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তীব্র পিঠে ব্যথা, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লাগা এবং থুতুতে রক্তের উপস্থিতি।