বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সঙ্গীত জগতের মিউজিক্যাল জুটি রাহুল দেব বর্মণ (Rahul Deb Burman) এবং আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। গানে গানেই মিলে গিয়েছিল দুজনের মনের সুর। আশার সঙ্গে কাজ করতে করতেই তাঁর প্রেমে পড়েন পঞ্চম। রোম্যান্টিক মানুষ ছিলেন। অনেক রকম ভাবে গায়িকার মন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। শেষমেষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
গানে যেমন সুরের হাই এবং লো পিচ আছে, আর ডি বর্মণ এবং আশা ভোঁসলের বৈবাহিক জীবনও ছিল গানের মতোই। ছোটখাট ঝগড়াঝাঁটি তাঁদেরও হত। প্রবীণ গায়িকা একবার জানিয়েছিলেন, মূলত গান নিয়েই ঝগড়া বাঁধত তাঁদের মধ্যে। স্বামীর বিরুদ্ধে একটা গুরুতর অভিযোগও ছিল আশার।
আর ডি বর্মণের সুরে বিয়ের আগে এবং পরে অগুন্তি গান গেয়েছেন আশা ভোঁসলে। তার মধ্যে এমন অনেক গানই রয়েছে যা খুবই কঠিন। এমনি একটি গান ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবির ‘আজা আজা ম্যায় হু পেয়ার তেরা’। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গানটি আজো বহু মানুষের প্রিয়। অদ্ভূত সুন্দর ভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে গানটি গেয়েছিলেন আশা।
কিন্তু গানটি শুনে যেমন পা আপনা থেকেই নাচতে শুরু করে, গানটি গাওয়া কিন্তু অতটাও সোজা নয়। সঙ্গীতশিল্পীরা কঠিন গানের তালিকাতেই ফেলেন এই গানটিকে। শোনা যায়, টানা দশ দিন ধরে প্র্যাকটিস করার পর গানটি গেয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। শুনে আর ডি বর্মণের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি ১০০ টাকা পুরস্কার দিয়েছিলেন গায়িকাকে।
কিন্তু আর ডির কাছে একটা অভিযোগও ছিল আশার। শোনা যায়, তিনি নাকি সঙ্গীত পরিচালককে প্রশ্ন করেছিলেন, সব ভাল ভাল সোজা গানগুলো তিনি দিদি লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে দেন। আর তাঁর কপালে জোটে সব কঠিন গানগুলো, যেগুলো অন্য কেউ গাইতে পারে না।
উত্তরে আর ডি বর্মণ বলেছিলেন, আশা ভোঁসলে সব ধরণের গান গাইতে পারেন। তাই তিনি এমন গান বানান। কিন্তু আশা যদি গানগুলো গাইতে না চান, তাহলে তিনি আর এমন কঠিন গান বানাবেনই না। তবে পরবর্তীকালেও আরো অনেক আইকনিক গান উপহার দিয়েছেন এই জুটি।