পাননি আবাস, সঙ্গে জল শৌচাগারের সমস্যা! ‘দিদির দূত’ হয়ে যেতেই বিক্ষোভের মুখে সাংসদ শতাব্দী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার জনতার ক্ষোভের মুখে “দিদির দূতেরা।” বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ (Members of Parliament) শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy) নিজের লোকসভা এলাকায় পড়লেন জনসাধারণের প্রশ্নের মুখে। এদিন শতাব্দী মহম্মদবাজারের মকদমনগরে যান “দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচি উপলক্ষে। সেখানে গেলে শতাব্দীকে রীতিমত মহিলারা ঘিরে ধরেন। এদিন সমস্ত অভিযোগ সাংসদ মন দিয়েই শোনেন। প্রশ্ন লিখে রাখতে বলেন সহকারীকে।

অনেকেই প্রশ্ন করেন, “গ্রামে সবার বাড়িতে কেন শৌচাগার হয়নি? প্রকৃত প্রাপকরা কেন আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি? কেনই বা অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা থেকে?” এসব প্রশ্ন শোনার পর আশ্বাস দিয়ে জানান তিনি জেলাশাসকের সাথে আলোচনা করবেন এই বিষয়ে।
জেলাশাসক এই গ্রামেই গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি এসেছিলেন।

তখন গ্রামবাসীরা শৌচালয়, বাড়ি ও পানীয় জলের সমস্যার কথা তাকে জানান। এবার ফের এই গ্রামে অভিযোগের মুখোমুখি হলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। বিষয়টি নিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, “৯৯% শৌচাগার তৈরির রিপোর্ট রয়েছে জেলার উন্নয়ন বৈঠকে। এরপরেও কেন এখানে শৌচাগার হয়নি আমি খোঁজ নেব।” এর আগেও শতাব্দী রায় বীরভূমে “দিদির দূত” কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে মুখোমুখি হয়েছিলেন সাধারণ মানুষের প্রশ্নের।

রবিবার দুবরাজপুর বিধানসভার খয়রাশোল ব্লকে খারাপ রাস্তা নিয়ে তাকে অভিযোগ করেন অনেকে। সোমবার তিনি মকদমনগরে কিছুক্ষণ কথা বলেন গ্রামবাসীদের সাথে। শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, “অনেকে পাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন যে তিনি বাড়ি পাননি। ৪ সদস্যের পরিবার হলে সবাইকে তো আর বাড়ি দেওয়া যায় না। তাহলে তো যাদের পাওয়া উচিত তারা বঞ্চিত হবেন।”

Shatabdi Roy

কর্মসূচি শেষে শতাব্দী বলেন, “দাবি রয়েছে জল, শৌচাগারের। আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলব জেলাশাসকের সাথে। বহু জায়গায় শৌচাগার হয়ে গিয়েছে “মিশন নির্মল বাংলা”র অধীনে। হিসাব করে দেখেছি প্রায় ৯৯% কাজ হয়ে গিয়েছে।” তবে এই অভিযোগ-অনুযোগের মধ্যে আবার তারকা-সাংসদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও ভিড় করেন অনেকে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর