দুর্লভ লেখযুক্ত বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার! পাল-সেন যুগের শিল্পরীতি দেখতে শয়ে শয়ে লোক অজয়ের চরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল অজয় নদের চর (Bank of River Ajay)। সেখানে আবারও বিষ্ণু মূর্তির (Vishnu Idol) সন্ধান মিলল। কেতুগ্রামের (Ketugram) নারেঙ্গা গ্রাম সংলগ্ন এলাকা থেকে মূর্তিটি খুঁজে পাওয়ার পর সেটিকে থানায় রাখা হয়। অতীতে বহুবার ওই অঞ্চল থেকে মূর্তি খুঁজে পাওয়া গেলেও এইবারে প্রাপ্ত মূর্তিটি এক্কেবারে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

সূত্রের খবর, মূর্তিটি কালো পাথরে খোদাই করা হয়েছে। পাল-সেন যুগের শিল্পরীতির চাপ স্পষ্ট ফুটে উঠছে মূর্তির গায়ে। মূর্তির ডান দিকের দুই হাতে গদা ও পদ্ম এবং বাম দিকের দুই হাতে রয়েছে চক্র ও শঙ্খ রয়েছে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটিতে একটি লেখাও রয়েছে। এই দুর্লভ মূর্তিটি তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের কাছে। এই এলাকায় প্রথমবার লেখযুক্ত মূর্তি উদ্ধার হয়েছে।

কাটোয়ার আঞ্চলিক ইতিহাসের গবেষক স্বপন ঠাকুর বলেন, “উদ্ধার হওয়া এই মূর্তিটি থেকে অনুমান করা যায়, চৈতন্যের আগেও এখানে পৌরাণিক বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব ছিল। অজয় নদীকে কেন্দ্র করে বণিকদের বাস ছিল। মূলত তাঁরাই ত্রিবিক্রম বিষ্ণুর উপাসনা করতেন। হতে পারে, বন্যার কারণে সেই মূর্তিগুলি নদীতে চলে এসেছে।” পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “আবার এমনও হতে পারে, কোনও কারণে নদীর পাশে জলাশয়ে মূর্তিগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সেই জলাশয়গুলি পরে অজয়ে মিশে যায়। তাই এখন একই জায়গা থেকে এত মূর্তি পাওয়া যাচ্ছে।”

River ajay

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সুপারিনন্টেন্ডিং আর্কিওলজিস্ট শুভ মজুমদার বলেন, “এই এলাকায় এক সময় বিষ্ণুর পুজোর সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। সম্ভবত মূর্তিগুলোকে বিদেশি শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচাতে জলে ফেলে দেওয়া হয়। সেগুলিই এখন উদ্ধার হচ্ছে। কেন ওই এলাকায় এত মূর্তি এল, তার সঠিক কারণ জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।” প্রায় ২ ফুট দীর্ঘ মূর্তিটি উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

 

 

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর