বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Subhashree Ganguly) নামের সঙ্গে ‘ট্রোলিং’ শব্দটাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অভিনেতা অভিনেত্রীরা একটু বেশিই সমালোচকদের নিশানায় থাকেন। কিন্তু শুভশ্রীর ক্ষেত্রে বিষয়টা খানিকটা মাত্রাতিরিক্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অতি সক্রিয় থাকেন এবং ব্যক্তিগত জীবনটাও রাখঢাক না করে শেয়ার করেন সকলের সঙ্গে। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগায় নেটনাগরিকদের একাংশ।
সর্বসমক্ষে ভালবাসা দেখানোয় বিশ্বাসী শুভশ্রী এবং রাজ চক্রবর্তী। একসঙ্গে কাজ করতে করতেই একে অপরের সঙ্গে প্রেম এবং অতঃপর বিয়ে। ২০১৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। পাঁচ বছরে প্রেম কমার বদলে বেড়েছে চড়চড়িয়ে। বরাবরই ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি, করবই তো’ মনোভাব নিয়ে চলেন রাজ শুভশ্রী। ইদানিং সেটা আরোই বেড়ে গিয়েছে।
নিউ ইয়ারস ইভ এবং গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাজের জন্মদিন, দুদিনই জনসমক্ষে একে অপরকে চুম্বনের ছবি শেয়ার করেছিলেন ‘রাজশ্রী’ জুটি। ঢালাও ট্রোলিংও হয়েছে। লজ্জা শরম নেই, বেডরুমের জিনিস হাটের মাঝে আনছে, দেবকে ব্লক করে ছবি শেয়ার করেছে, এমনি বিচিত্র সব কমেন্টে ভরেছিল পোস্ট।
ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক কোনো মন্তব্যেরই জবাব দিতে দেখা যায় না শুভশ্রীকে। তবে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে ট্রোলিং নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। স্পষ্ট কথায় অভিনেত্রী বলেন, ‘যারা ট্রোল করেন তাদের অস্তিত্বই নেই আমাদের কাছে। আমরা নিজেদের মতো নিজেরা কাজ করা আর রাজ এবং আমি প্রতি মিনিটে চুমু খাই’।
শুভশ্রীর মতে, রাজ পরিচালক থেকে তৃণমূল বিধায়ক হওয়ার পরেই ট্রোলের পরিমাণ বেড়েছে। তবে তাঁরা সকলেই খুব ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে থাকেন। কর্মফলে বিশ্বাস করেন। আর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেন। শুভশ্রী এও বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি স্ট্রং, তাই তাদেরই বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ১৬ বছর ধরে টলিউডে রয়েছেন তিনি। কিন্তু নারী ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতার মতো শব্দগুলো কখনো জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে শোনেননি শুভশ্রী।
তবে বাড়িতে বিষয়টা অন্য রকম বলে জানান শুভশ্রী। তাঁর শাশুড়ি মা অর্থাৎ রাজের মা যথেষ্ট প্রগতিশীল মনের। অভিনেত্রী বলেন, তাঁর শাশুড়ি মা চান না যে তিনি রান্নাঘরে ঢোকেন। এমনকি জল খেতে ঢুকলেও নাকি তিনি প্রশ্ন করেন, রান্নাঘরে যাচ্ছেন কেন। ছেলের থেকেও বউমাকে এগিয়ে রাখেন। এমন শাশুড়ি পেয়ে আপ্লুত শুভশ্রী।