বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ইন্দোর টেস্টে (Indore Test) কিছুটা বেকায়দায় ভারতীয় দল (Team India)। নাগপুর এবং দিল্লীতে দাপট দেখিয়ে জয়ের পর ইন্দোরে আচমটাই ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে ভারত। প্রথম দিন থেকেই বল প্রায় এক হাত করে ঘুরছে। অস্ট্রেলিয়ার লিওন এবং দুই অনভিজ্ঞ স্পিনার যেভাবে ভারতীয় ব্যাটিংকে চুরমার করে ১০৯ রানে তাদের অলআউট করে দিয়েছে, তা দেখে অনেকেই চিন্তায়। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ভারতের রানকে অতিক্রম করে ফেলেছে। প্রতিবেদনটির লেখার সময় ৪৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তাদের স্কোর ১৪৬।
ভারতের হয়ে সবকটি উইকেট পেয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। ডেভিড ওয়ার্নারের চোটের কারণে এই টেস্টে ওপেন করার সুযোগ পাওয়া ট্র্যাভিস হেডকে এলবিডব্লিউ করেছেন তিনি।এরপর লাবুশানেকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেটে অজিদের ৯৬ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন তারকা অলরাউন্ডার। এরপর এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অর্ধশতরান করা উসমান খাওয়াজা বড় শট খেলতে গিয়ে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে জাদেজার শিকার হয়ে ফেরেন। এরপর ২৬ রান করে উইকেটের পেছনে খোঁচা দিয়ে তার শিকার হয়েই ফেরেন স্টিভ স্মিথ।
এই ইনিংসের প্রথম উইকেটটি ছিল জাদেজার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৫০০ তম উইকেট। গত দিল্লি টেস্টে তিনি ২৫০ টেস্ট উইকেটের গন্ডি অতিক্রম করেছেন। এবার সব ধরনের ফরম্যাট মিলিয়ে এই মাইলফলক ছুঁলেন তারকা অলরাউন্ডার। সেইসঙ্গে একটি বিরল কীর্তি গড়ে ফেলেছেন তিনি যা করে দেখানোর গৌরব আগে ছিল শুধুমাত্র একজন ভারতীয় ক্রিকেটারের।
দ্বিতীয় ভারতীয় অলরাউন্ডার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫,০০০ রান এবং ৫০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়ে দেখিয়েছেন জাদেজা। এটি ছিল তার ২৯৮ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যদিও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি এই ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে। তার আগে এই কীর্তি ছিল শুধুমাত্র ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেবের।
এই মুহূর্তে জাদেজার বোলিংয়ে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ভারত। জাদেজা দিল্লি এবং নাগপুর টেস্টেও ভারতের ট্রাম্প কার্ড ছিলেন। তার এই উন্নতির পেছনে এবার কৃতিত্ব দাবি করে বসলেন প্রাক্তন ভারতীয় প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি জানান যে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি এবং ভরত অরুণ তারকা অলরাউন্ডারকে নিজের ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হতে পরামর্শ দেন। শাস্ত্রীর মতে বোলিংয়ে জাদেজা উন্নতি প্রতিদিন করছিলই। তিনি ব্যাটিং-এর বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার পর তার ব্যাটিংয়েও উন্নতি হতে থাকে এবং তিনি এখন ভারত তথা বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারে পরিণত হয়েছেন।