একের বিরুদ্ধে ‘এক’ হয়েই লড়তে চান অধীর! বাম-বিজেপিকে বিশেষ বার্তা কং নেতার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মাঝেমধ্যেই বিরোধী শিবিরগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস বিজেপি বাম সবাই এক হয়ে লড়াই করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেত্রীর কথায় এরা হলেন একত্রে “জগাই-মাধাই-গদাই।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) মঙ্গলবার দাবি করলেন, এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে তৃণমূল। তাই এক হয়ে যাচ্ছে নিচু তলার সবাই।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বাম (Left front) কংগ্রেস (Congress) বিজেপি (Bharatiya Janata Party) কি তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ঠেকাতে এক হয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কোনও লাভ নেই বাম, কংগ্রেস, বিজেপি এসব সংজ্ঞা টেনে। এখন মানুষ গণশত্রু হিসাবে দেখছেন তৃণমূলকে। তাই আমার মনে হয় এক অদ্ভুত সমীকরণ তৈরি হয়েছে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের ভাঙ্গা অংশ সবাই মিলে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, অধীর চৌধুরী বাম ও বিজেপি নেতাদের পঞ্চায়েত ভোটের আগে আসলে বার্তা দিয়ে বলতে চাইলেন- একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় লড়াই হোক। অর্থাৎ যেখানে যে শক্তিশালী সেখানে সে প্রার্থী দেবে। যদি জয়নগরের কোন এলাকায় আরএসপির মত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বাম দলের স্থানীয় স্তরে শক্তি থাকে তাহলে তারা সেখানেই লড়াই করুক।

adhir chowdhury

অন্যদের ক্ষেত্রেও এই ফর্মুলা প্রযোজ্য। এই কথা অবশ্য অধীর বাবু খোলাখুলি বলেননি। কিন্তু অনেকের মতে ইঙ্গিতটাই রাজনীতিতে অনেক সময় বড় হয়ে দাঁড়ায়। অধীর চৌধুরী সাগরদিঘির ভোটের পরের দিন যেন তেমন ইঙ্গিত দিতে চাইলেন। পাশাপাশি সাগরদিঘির ভোট প্রসঙ্গে অধীরবাবু এদিন একথাও বলেন, ‘বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে ঠিক কথা। কিন্তু সাগরদিঘির মানুষ দৃঢ়চেতা মনোভাব নিয়ে তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাঁদের জন্যই তৃণমূল সন্ত্রাস করতে পারেনি।’

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর