বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাইকোর্টের (Kolkata High Court) ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন ৬১৮ জন নবম-দশম শ্রেণির অযোগ্য শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিল করেছিল। শুক্রবারই সেই শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই কথাই জানিয়ে দিল কমিশন।
২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলাও দায়ের হয় হাইকোর্টে। ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃতি করে বেনিয়ম ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যান ৮০৫ জন শিক্ষক। বুধবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, চাকরিহারাদের চাকরি থাকবে কিনা তার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই। আরও বলা হয়, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব কিছু আইনে চলার ক্ষমতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কমিশন যদি মনে করে তাঁদের চাকরি থাকবে না। তবে সেটাই শেষ কথা।
গ্রুপ ডি মামলাতেও চাকরি বাতিল হয়েছে ১৯১১ জনের। সে ক্ষেত্রেও ওএমআর বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা।
সেখানে চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল থাকে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রয়েছে সেখানেও। তবে এই ১৯১১ জনকে বেতন ফেরত দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ, তা বাতিল করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।