আর কোনও উপায় নেই! পরিস্থিতি না শুধরালে নিজেদেরই বোম মেরে উড়িয়ে দেবে পাকিস্তান

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। খাদ্য নেই, টাকা নেই, জ্বালানি নেই। আটা-ময়দার জন্য চলছে মারামারি। এর উপর যুক্ত হয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা। মাঝে মধ্যেই ঘটছে তালিবানি হামলা (Taliban Attack)। আর মসজিদ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাত তুলে নিয়েছে চিন আরবের মতো বন্ধু দেশ। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারও (IMF)। কিভাবে বাঁচবে পাকিস্তান? এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।

শুক্রবার (৩ মার্চ), রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) মোক্ষম জবাবে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত। ভারতের বিরুদ্ধে ‘দূষিত প্রচার’ না চালিয়ে, নিজের দেশের মানুষকে কীভাবে সঙ্কট থেকে রক্ষা করবে, পাকিস্তানিদের সেই দিতে মন দিতে বললেন ভারতের প্রতিনিধি সীমা পুজানি। তিনি বলেন, “তাদের জনগণ যখন তাঁদের জীবন, জীবিকা এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে, তখনও ভারতেরই ভাবনাতেই বিভোর পাকিস্তান। এটা এক রাষ্ট্রের ভুল অগ্রাধিকারের পরিচয়। আমি এই দেশের নেতা এবং কর্মকর্তাদের বলব, ভিত্তিহীন অপপ্রচারের পরিবর্তে নিজেদের জনগণকে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে আপনাদের শক্তি কাজে লাগান।’

এদিকে এক পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১ জুলাই থেকে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে ৩ টাকা ২৩ পয়সা অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে গ্রাহকদের। শরিফ প্রশাসনের লক্ষ্য আগামী অর্থবর্ষের আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে ৩৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন। জমে থাকা ঋণ পরিশোধ করতেই এমন পরিকল্পনা। আর তারই ফলশ্রুতি আমজনতার উপরে বাড়তি মাশুলের বোঝা চাপানো।

pakistan economic crisis (1)

কেবল এটুকুই নয়। রাত আটটার পরে বিদ্যুতের জন্য দ্বিগুণ দাম দিতে হবে, এই পরিকল্পনাও করা হয়েছে। শিগগিরি ক্যাবিনেটে বিষয়টি পেশ করা হবে। যদি শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপও করা হয়, তাহলে যে সাধারণ জনতাকে বিদ্যুতের খরচ দিতে আরও বেকায়দায় পড়তে হবে তা নিশ্চিত।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু তার আগে তাদের দেওয়া শর্ত পূরণ করতে হবে। আর এই কারণেই বিলম্বিত হচ্ছে ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া। এর ফলে বাজারে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। আর সেই কারণেই হু হু করে পড়তে শুরু করেছে পাকিস্তানি টাকার দাম।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর