নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, এবার রেশন কার্ড থাকলেই পেট্রোলে মিলবে ২৫০ টাকার ভর্তুকি! ঘোষণা সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প চালানো হচ্ছে। মূলত, সমাজের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদেরকে লক্ষ্য রেখেই এই প্রকল্পগুলি শুরু করা হয়। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) সরকার বাইক চালকদের জন্য পেট্রোলে ভর্তুকির ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, এটির মাধ্যমে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যেতে পারে। মূলত, এই ভর্তুকি স্কিমের আওতায় খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের অধীনে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি মাসে ১০ লিটার পেট্রলের উপর ২৫০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়।

এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ভর্তুকির প্রসঙ্গে একটি গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে রীতিমতো বিভ্রান্তির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ। গুজব ছড়িয়েছে যে যাঁরা এইভাবে পেট্রোল ভর্তুকি নেবেন, তাঁদের রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। এমতাবস্থায়, এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল। এমনকি, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, এই গুজব প্রতিহত করতে এই বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের অর্থমন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, বাইক তথা টু-হুইলার ব্যবহারকারীদের এই ভুল বোঝাবুঝি দূর করার প্রয়োজন। এমনকি, অনেকেই এই গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে পেট্রোল ভর্তুকির জন্য আবেদনও করেননি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পেট্রোলে ভর্তুকির ক্ষেত্রে কোনো রেশন কার্ডধারীরই কার্ড বাতিল করা হবে না।

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, যাঁদের কাছে একটি বাইক আছে এবং সরকার থেকে রেশন পান তাঁরা এই ভর্তুকি পেতে পারেন। বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন রামেশ্বর ওরাওঁ বলেন, রেশন কার্ড রয়েছে এমন পরিবারগুলিকে পেট্রোল ২৫০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার প্রসঙ্গে একটি গুজব ছড়ানোর ফলে অনেক রেশন কার্ডধারীই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারছে না।

istockphoto 1182699875 612x612 (1)

এছাড়াও, রামেশ্বর ওরাওঁ জানান, মূলত দু’টি কারণে সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারছে না। যার মধ্যে প্রথমটি হল গুজব এবং দ্বিতীয়টি হল, এই ভর্তুকি পেতে এতদিন সেন্টারে গিয়ে আবেদন করতে হত। এমন পরিস্থিতিতে জানানো হয়েছে যে, বর্তমানে রেশন ডিলারের কাছ থেকে স্ট্যাম্প নিয়েও ভর্তুকির জন্য আবেদন করা যাবে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর