Mark Mobius-কে টাকা তুলতে নিষেধাজ্ঞা! চিনের পরিবর্তে ভারতে বিনিয়োগ করতে চান প্রবীণ বিনিয়োগকারী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার মোবিয়াস ক্যাপিটাল পার্টনার্সের মার্কেট এক্সপার্ট মার্ক মোবিয়াস (Mark Mobius) বিনিয়োগকারীদের চিনের (China) সাথে ব্যবসা করার প্রসঙ্গে সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর এইচএসবিসি অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে “বাধা” দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এবার মোবিয়াস বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ভারত ও ব্রাজিলে বিনিয়োগের বিষয়টিতেও মতামত প্রদান করেন।

এই প্রসঙ্গে ফক্স বিজনেস মার্ক মোবিয়াসকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, “আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রভাবিত হয়েছি। কারণ, সাংহাইয়ের এইচএসবিসিতে আমার একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখান থেকে আমি আমার টাকা তুলতে পারছি না। তাই, চিনে বিনিয়োগের ব্যাপারে আমি সতর্ক থাকবো।” এদিকে, বিজনেস ইনসাইডারও এই সংক্রান্ত খবর সামনে এনেছে।

   

চিনের অর্থনীতি “ভিন্ন দিকে” যাচ্ছে: পাশাপাশি, মোবিয়াস ক্যাপিটাল পার্টনার্সের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক মোবিয়াস জানিয়েছেন, চিনের অর্থব্যবস্থা তার প্রাক্তন স্বাধীনচেতা বিপ্লবী নেতা ডং জিয়াওপিংয়ের চেয়ে সম্পূর্ণ “ভিন্ন দিকে” এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, ফক্স নিউজের ওয়েবসাইটে মোবিয়াসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “এখন এমন একটি সরকার রয়েছে যা চিনের কোম্পানিগুলির শেয়ারের আকর্ষণ কমিয়ে দিচ্ছে। এর মানে হল, তারাই সব কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে। সুতরাং, আমি মনে করি না এটি একটি ভালো ছবি। সরকার অর্থনীতিকে আরও বেশি করে নিয়ন্ত্রণ করছে।”

ভালো অবস্থা হংকংয়ের: পাশাপাশি, মোবিয়াস দাবি করেছেন যে, এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হংকং অনেকটাই “উন্মুক্ত” রয়েছে। মোবিয়াস জানান, তাঁর ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারে নিজের অর্থ “রাখা এবং উত্তোলন” করতে কোনো সমস্যা হয়না।

mark mobius 1200

ভারতের প্রসঙ্গে কি জানিয়েছেন: এর পাশাপাশি মোবিয়াস বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের আরও অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধা সহ একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে ভারতের দিকে নজর দেওয়া উচিত। এছাড়াও, তিনি আরও দাবি করেন যে, ভারতের বিলিয়ন মানুষ একই কাজ করতে পারে যা চিনারা করছে। তাঁর মতে, “ভারতের কাছে এক বিলিয়ন জনসংখ্যা আছে। এমতাবস্থায়, তারা একইভাবে উৎপাদন করতে পারে যা বর্তমানে চিনারা করছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর