বাংলা হান্ট ডেস্ক : ছিল মার্কিনি নিষেধাজ্ঞা, ছিল পশ্চিমি রাষ্ট্রের অমত। তারপরও, সবকিছুকে বুড়োআঙুল দেখিয়ে রাশিয়া (Russia) থেকে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম কিনছে ভারত (India)। এবং সেই তেল আমার বিশ্বের বাজারে বিক্রি করছে করছে চড়া দামে। এমনকি আমেরিকাও (America) ভারতের থেকে রাশিয়ার কিনেছে। শুধু তাই নয়, পরিসংখ্যান বলছে বিগত ১০ মাসে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে ৩৮৪ শতাংশ।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া হঠৎই ইউক্রেন আক্রমণ করে। এরপরই পুতিনের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু হলে কি হবে দেশটি যে রাশিয়া! সরাসরি তাকে চোখ রাঙানোর সাহস কার রয়েছে? আমেরিকা এবং পশ্চিমে তার বন্ধু দেশগুলি যুদ্ধের প্রাথমিক ভাবে বিরোধিতা করে। সরাসরি আক্রমণ না করে পুতিনের দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করে রাষ্ট্রগুলি।
আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলি রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল করার পরিকল্পনা করে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। হোয়াইট হাউসের আপত্তিতে অনেক দেশই রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ব্যতিক্রমী ভারত। নয়াদিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দেয় দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে যেখানে কম দামে পাবে সেখান তেল কিনবে। বলাইবাহুল্য, বর্তমান ভারতকে দাবিয়ে রাখার সাহস দেখায়নি আমেরিকাও। এই মুহুর্তে পশ্চিম এশিয়া এবং আমেরিকা থেকে ভারত যে তেল কিনত, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি তেল কেনা হচ্ছে পুতিনের দেশ থেকে।
রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, বেশ চড়া দামে বিদেশেও তা রফতানি করেছে। অদ্ভুত ভাবে ভারত থেকে রাশিয়ার তেল পৌঁছেছে আমেরিকাতেও। জানুয়ারিতেই প্রায় ৮৯ হাজার ব্যারেল ডিজ়েল ভারত থেকে নিউ ইয়র্কে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব ভাল। তাই মস্কো থেকে তেল কিনলেও বিশেষ আপত্তি নেই ওয়াশিংটনের।
পেট্রোলিয়াম আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ভারটেক্সা জানিয়েছে, ভারত সৌদি আরব থেকে ১৬ শতাংশ এবং আমেরিকা থেকে ৩৮ শতাংশ তেল কেনা কমিয়েছে ভারত। শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনা বাড়িয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ। এই মুহুর্তে প্রতিদিন ১৬.২০ লক্ষ ব্যারেল তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে ভারত।