আমূল পরিবর্তন আসছে ড্রাইভিং লাইসেন্সে, এপ্রিল থেকে বদলে যাবে চিত্র! কীভাবে পাবেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে রাজ্যে। এ বার থেকে উপভোক্তারা নতুন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পাবেন। আজকাল ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডে চিপ লাগানো থাকে। ঠিক একইরকম জিনিস এ বার হতে চলেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driver’s License) এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেও। 

এছাড়াও কিউআর কোড থাকবে এগুলিতে। অনেকটা এটিএম কার্ডের (ATM Card) মতো দেখতে হয়ে যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। এই কার্ডে এ বার থেকে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকবে। নতুন এই ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তৈরি করা হবে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই। এমনই জানিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর।

   

traffic jam

আগামী এপ্রিল মাস থেকেই নতুন এই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে বাছাই করা হবে। তারপরেই তা সক্রিয় করা হবে। এর জন্য বরাত দেওয়া হবে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। যদিও এই সংস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে রাজ্য পরিবহণ দফতরের। প্রশ্ন উঠছে, কত খরচ পড়বে নতুন এই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের জন্য? জানা গিয়েছে, খুব বেশি খরচ পড়বে না গাড়ি চালক ও মালিকদের।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তৈরিতে বর্তমান খরচের থেকে অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হবে আবেদনকারীকে। কার্ড তৈরি হলে তা পৌঁছে যাবে আবেদনকারীর বাড়ি। পরিবহণ আধিকারিকদের আশা, নতুন ব্যবস্থার ফলে রাজ্য সরকার ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা আয় করবে। কিন্তু হঠাৎ নতুন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির প্রয়োজন পড়ল কেন? 

driving license

এ বিষয়ে পরিবহণ দফতরের বক্তব্য, বহু ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা ড্রাইভিং লাইসেন্সকে পরিচয় পত্র হিসেবে দেখিয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করে থাকে। এছড়াও পুলিশ ও গাড়ি চালকদের মধ্যে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনের বৈধতা নিয়েও ঝগড়া লাগে। নতুন এই কার্ডের ফলে একদিকে দুষ্কৃতীরা অবৈধভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবে না। 

অন্যদিকে, পুলিশও সমস্ত তথ্য কার্ড দিয়েই দেখে নিতে পারবে। ফলে বচসাও কমবে। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, কলকাতার বেলতলা মোটর ভেহিকেলস অফিসে একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় খোলা হবে। সেখান থেকেই সমস্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা হবে। আঞ্চলিক অফিস থেকে তথ্য আসবে বেলতলায়। আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর হওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন তাঁর বাড়ি পৌঁছে যাবে।

Avatar
Subhraroop

সম্পর্কিত খবর