বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ দেশের নয় বিরোধীদলের নেতারা। অন্যদিকে, পরদিনই অর্থাৎ সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার নালিশের পালটা নালিশ।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। শিশির পুত্রের অভিযোগ, সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী আর কেউ নয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সিবিআইয়ের তদন্তের ওপর প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু বলেন, সিবিআইয়ের মমতাকে ধরার বিষয়ে অনিচ্ছা রয়েছে।
মোদীকে এই নিয়ে যে চিঠি শুভেন্দু পাঠিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে টুইটারে শুভেন্দু লেখেন, “আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে চিঠি লিখেছি। সেখানে সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরা নিয়ে সিবিআই-এর অনিচ্ছার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।” তিনি এও বলেন, গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ কাঙ্খিত দিনটির জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়-সহ ৯ বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীদের প্রেরণ করা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামের বিশেষভাবে উল্লেখ ছিল। চিঠিতে তারা লেখেন, ২০১৩ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি যাদের গ্রেফতার করে চলেছে তার অধিকাংশই বিরোধী দলের সদস্য। তবে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের বদলে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপরই চিঠিতে উদাহরণ হিসেবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বর্তমানে তৃণমূলে থাকা পূর্বের বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের প্রসঙ্গও তোলা হয়।
এই চিঠির পালটা চিঠি দিয়ে এদিন শুভেন্দু প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ জানান। সোমবার বিধানসভায় নিজের কক্ষে বসে নিজের প্রেরণ করা চিঠি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই আইআরসিটিসির সঙ্গে সারদার ফুড অ্যান্ড ট্রাভেলসের চুক্তি কে করেছিলেন ? তাহলে কেন তাকে ডাকা হবে না ৷ আমি সিবিআইকে রিলাকট্যান্ট না-থেকে এগুলো খতিয়ে দেখতে বলেছি। উনি যেমন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাই আমিও ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। “