বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক দিনের ব্যবধান। তারই মধ্যে দুই জেলা থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলেন দুই বিবাহিত বোন! বাজার যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৭ দিন ধরে বাড়ি ফেরেননি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা সুনীতা মালাকার। ঠিক তার এক দিন পর নদীয়া থেকে উধাও সুনীতার বোন চায়নাও। দুই জেলা থেকে একসঙ্গে দুই বোনের এমন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, সুনীতা মালাকারের শ্বশুরবাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। দুই সন্তানের মা সুনীতা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ১ মার্চ নদীয়ার করিমপুর থেকে উধাও হয়ে যান সুনীতার বোন চায়না মালাকারও। তাঁর শ্বশুরবাড়ি করিমপুরেই। তিনিও এক সন্তানের মা। দুই বোনেরই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে (Extramarital affair) জড়িয়েছেন দু’জনেই।
ওই দুই বধূ তাঁদের প্রেমিকদের সঙ্গেই কোথাও চলে গিয়েছেন বলে দাবি তাঁদের পরিবারের। ইতিমধ্যেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছে সুনীতা ও চায়নার পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে করিমপুর থানার অন্তর্গত গোপালপুরের বাসিন্দা পিটার বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল চায়নার। পিটারের দাবি, কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তারপরেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
পিটার বলেন, “ভালবেসে সর্বস্ব উজাড় করেছিলাম। নিজের কেরিয়ারের কথা না ভেবে চায়নার সঙ্গে সংসার করছিলাম। কিন্তু কোনওদিন ভাবিনি যে ও এমন ভাবে ছেড়ে যাবে।” অন্যদিকে, সুনীতার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল অন্য কথা। তিনি নাকি এর আগে দু’বার পালিয়েছিলেন! ওই দু’বারও তাঁর পরকীয়ার সম্পর্ক সামনে এসেছিল।
সুনীতা ও চায়না মালাকারের এই অন্তর্ধান রহস্যের সমাধানে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দুই পরিবারের তরফে দায়ের করা নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতেই এই তদন্ত করছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই বোনের ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁরা কাদের সঙ্গে কথা বলতেন, শেষ বার কাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁ ও করিমপুর এলাকায়।