বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে নির্বাচনের মরসুম। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election), অন্যদিকে, দিন কয়েক আগে হয়ে যাওয়া সাগরদিঘি উপনির্বাচন (Sagardighi Bypoll) এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) হারিয়ে মুর্শিদাবাদের এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস শিবির। সেই থেকেই এই ভোটের ফলাফল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল।
অন্যদিকে, সাগরদিঘিতে জয়লাভের পরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি, বিজেপির ভোটারদের একাংশ সাগরদিঘিতে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। নেতার এই মন্তব্যের পরই কংগ্রেস বিজেপির আঁতাতের তত্ত্ব নিয়ে সরব শাসকদল থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।
এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার এই প্রসঙ্গ তুলে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের কোনও জোটের দরকার নেই। গতবার হিংসার মধ্যেও আমরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের পিছন পিছন সিপিএম-কংগ্রেস গিয়ে মনোনয়ন জমা করেছিল। বিজেপি একাই তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে।’
শুধু তাই নয়, এদিন তৃণমূল ও মমতা সরকারকে একজোটে আক্রমণ করেন এই বঙ্গ বিজেপির অন্যতম প্রধান সৈনিক। দিলীপবাবু বলেন, ‘রাজ্যের মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। রাজ্য জুড়ে পানীয় জল, রাস্তা থেকে শুরু করে স্কুলে শিক্ষক , হাসপাতালে চিকিৎসক, থানায় পুলিশ নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে। তাই তাঁরা রাস্তায় নামছেন।”
তার সংযোজন, “দিদির কথায় তৃণমূলের নেতারা সুরক্ষা কবচ দিতে যাচ্ছেন। জনরোষে পড়ছেন। কারণ, মানুষের মনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তারা বলতে পারতেন না। নেতারা আসতেন না শুনতে। এখন তাই দিদির দূতেদের পুলিশ নিয়ে যেতে হচ্ছে। যে বা যারা প্রতিবাদ করছে তাদের পেটানো হচ্ছে, যা আমরা টিভিতে দেখেছি। এই যে অসহিষ্ণুতা আর মানুষের প্রতি ব্যবহার এর যোগ্য জবাব পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়ে যাবে।’