বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UCL) শেষ ১৬ পর্বের টাই ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ফুটবলপ্রেমীরা প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (PSG) বনাম বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich) ম্যাচটি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন। তারা আশা করেছিলেন যে দুই পর্ব মিলিয়ে দুই দলের কাছ থেকেই প্রচুর গোল আসবে। কিন্তু তেমনটা হলো না। দুই পর্বের ম্যাচেই ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বাভারিয়ান নেকড়েরা।
প্যারিসে নিজেদের হোম ম্যাচে বায়ার্নের বর্তমান এবং পিএসজির প্রাক্তন স্ট্রাইকার এরিখ চুপো মোয়েতাংয়ের গোলে হারতে হয়েছিল এমবাপ্পেদের (Kylian Mbappe)। সেই ম্যাচে দুবার বল জালে জড়িয়ে ছিলেন ফ্রেঞ্চ ফুটবলার। কিন্তু দুই ক্ষেত্রেই অফসাইড থেকে গোল করেছিলেন এমবাপ্পে যার জন্য ওই গোলদুটি বাতিল হয়। নেইমার (Neymar) এবং মেসিও (Lionel Messi) বেশ নিষ্প্রভ ছিলেন ওই ম্যাচে।
গতকাল রাতে বায়ার্ন মিউনিখের মতো বড় মাপের দলকে তাদের মাঠে হারানোর কঠিন কাজ ছিল মেসিদের সামনে। আজ পর্যন্ত নক-আউটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়া খুব বেশি ক্লাব বায়ার্নের ঘরের মাঠ, ‘এলিয়ানজ এরিনায়’ এসে এই কঠিন কাজটা করতে পারেনি। কিন্তু পিএসজি অতীতে এই কীর্তি করেছিল ২০২১ সালে এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে। চোটের জন্য নেইমার না থাকলেও কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের দুই নায়ক মেসি ও এমবাপ্পের ওপর ভরসা রেখেছিল পিএসজি ভক্তরা।
কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পর বাস্তব চিত্রটা দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্যরকম। আক্রমণে পিএসজি যার দৌলতে সবচেয়ে ভালো সুযোগগুলি পেয়েছিল তিনি হলেন প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সার্জিও র্যামোস। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ডিফেন্স করে বায়ার্নকে এক গোলের বেশি করতে দেননি তিনি। গতকাল রাতে দুবার গোল করার খুব কাছাকাছি পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদে যে ম্যাজিক তিনি করে দেখাতেন সেটা ছিল অনুপস্থিত। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল ছিনিয়ে দুর্দান্ত পাস বাড়ান জার্মান মিডফিল্ডার গরেতস্কা। নিখুঁত ফিনিশে নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করেন চুপো মোয়েতাং।
এরপর ম্যাচের শেষ লগ্নে পরিবর্তক হিসেবে নামা পর্তুগালের সাইড ব্যাক জোয়াও ক্যান্সেলোর তৈরি দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণ থেকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে পিএসজির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন পরিবর্তক হিসেবে নামা জার্মান ফুটবলার সার্জ গ্যানাব্রী। এছাড়া বায়ার্নের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন ডাচ সেন্টার ব্যাক ডি লিট ও কানাডিয়ান উইং ব্যাক আলফানসো ডেভিস। একবার বায়ার্নের নতুন সুইশ গোলরক্ষক সোমারের ভুলে প্রায় গোল করে ফেলেছিল পিএসজি কিন্তু গোললাইন থেকে সেই বল ফিরিয়ে দেন ডি লিট। তাদের তৈরি চক্রব্যূহ ভেদ করে খুব বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি মেসি বা এমবাপ্পে। ৩-০ ফলে টাই জিতলো জার্মান ক্লাবটি। পরপর দুই মরশুমে মেসিকে আনার পর ‘শেষ ১৬’ পর্ব থেকে বিদায় নিলো পিএসজি। পরের মরশুমে কি তাকে আর প্যারিসের ক্লাবটিতে দেখা যাবে? এই প্রশ্নের জবাব পেতে অপেক্ষা আর দুই তিন মাসের।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা