বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা অলরাউন্ডার কেশব মহারাজ (Keshav Maharaj) ভারতে (India) বেশ জনপ্রিয়। ভারতের সঙ্গে তার নাড়ির যোগ রয়েছে। কিন্তু আপাতত তিনি পড়েছেন ঘোর বিপাকে। আজ শেষ হয়েছে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (South Africa vs West Indies) টেস্ট সিরিজ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের চতুর্থ দিনেই ক্যারিবিয়ানদের ২৮৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরই মধ্যে আজ একটি উইকেট নিয়ে সেই আনন্দ উদযাপন করার সময় কেশব মহারাজ তার বাঁ পায়ের অ্যাকিলিস টেন্ডন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
এই চোটের কারণে ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে আয়োজিত হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপ মিস করার ঝুঁকিতে রয়েছে তার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই গুরুত্বপূর্ণ স্পিনারকে ন্যূনতম ছয় মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হতে পারে। এর মানে হলো অক্টোবরে হাইভোল্টেজ আইসিসি টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সময় তিনি ভারতে আসতে পারবেন না। শেষবার দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরের সময় তিনি কেরালার তিরুবন্তপুরমের পদমানন্দ স্বামী মন্দিরের দর্শন করেছিলেন যে ব্যাপারটি ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের তরফ থেকে তার জন্য শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দিয়েছিল।
আজ, শনিবার জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্সকে আউট করেছিলেন তিনি। এরপর আনন্দে দৌড়ানোর সময় পায়ে মারাত্মক চোট পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন। এরপর তিনি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন এবং তাকে মাঠের বাইরে স্ট্রেচার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে হওয়া স্ক্যানগুলির রিপোর্ট একেবারেই ইতিবাচক নয়। হাসপাতাল থেকে তাকে বের হতে হয়েছে কাছে ভোট দিয়ে এবং আহত পায়ে একটি মুনবুট পড়ে।
যদিও ২০১৭ সালে অভিষেকের পর থেকে মহারাজ মাত্র ২৭ টি ওডিআই খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। কিন্তু প্রোটিয়া টেস্ট দলের মধ্যে একজন বোলার হিসেবে তার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারতের যে পরিস্থিতি থাকে সেখানে তার বোলিং বেশ কার্যকরী অস্ত্র হয়ে উঠতে পারতো দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। কিন্তু এখন ইচ্ছা থাকলেও তাকে সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
প্রসঙ্গত ঘরের মাটিতে আয়োজিত এই টেস্ট সিরিজটির প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটি আজ জিতে নিতে পেরেছে। প্রথমে ব্যাট করে দ্বিতীয় টেস্টে এইডেন মার্করমের ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৩২০ রান বোর্ডে তুলেছিল প্রোটিয়া শিবির। দ্বিতীয় ইনিংসের শেষে তারা লিড পেয়েছিল ৬৯ রানের। তৃতীয় ইনিংসে তারা অধিনায়ক তেম্বা বাভূমার শতরানে ভর করে ৩২১ রান তুলেছিল তারা। ৩৯০ রান তারা করতে নেমে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।