বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্পিতা-হৈমন্তীর পর রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) দিন কয়েক আগে উঠে এসেছে আরেক রহস্যময়ীর নারীর নাম। শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে ধৃত হুগলীর তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিউটি পার্লারের মালিক সোমা চক্রবর্তীর (Soma Chakraborty) নাম উঠে আসে। নেতার নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায় ২০২০ সালে এই সোমাকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে মোট ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সোমা। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নেন খোদ সোমাও। তবে কেন কুন্তল এতগুলো টাকা সোমাকে দিয়েছিলেন? কিসের বিনিময়ে সেই টাকা দেওয়া হয়? কতদিনই বা আলাপ তাদের? কী এমন সম্পর্ক যে কোনো চুক্তি ছাড়াই এই বিপুল পরিমান টাকা সোমাকে দিয়ে দিলেন কুন্তল? রবিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ সোমাই।
কোনো চুক্তি ছাড়াই কুন্তলের দেওয়া ৫০ লক্ষ টাকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে সোমা বলেন, “৫০ লক্ষ টাকা কি ব্যবসার ক্ষেত্রে ম্যাটার করে? আমি জানতে চাই এই বিষয়টি এত বড় করে দেখানো হচ্ছে কেন? আমার নিজের বাড়ির লোন ১ কোটির বেশি। গাড়ির লোন ৩০ লক্ষ। ৫০ লক্ষ টাকা এমন কী? আর যেখানে আমার স্যালোঁটা রয়েছে আমি তার জন্য ১ লক্ষ টাকা ভাড়া বাবদ দিই।”
কেন এত টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল? উত্তরে সোমা বলেন, “যেই সময় আমায় উনি টাকা দিয়েছিলেন তখন ওনার সঙ্গে আমার ভালভাবে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আমার সবটা দেখেছিলেন উনি। কীভাবে কঠোর পরিশ্রম করে আমি ব্যবসাকে দাঁড় করিয়েছি সেই স্ট্রাগল দেখেছেন উনি। সেই দেখেই হয়তো কুন্তল আমাকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”
সোমার দাবি, ২০১৭ সালে একজন কমন বন্ধুর মাধ্যমে কুন্তলের সঙ্গে তার দেখা হয়। সেখান থেকেই পরিচয়। তার কঠোর পরিশ্রম দেখে তাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেন কুন্তল। তবে এদিন নিজের ভুল স্বীকার করে সোমা বলেন, “আমার দেখা উচিত ছিল ওর (কুন্তলের) আয় কোথা থেকে। আমি সবটা না বিচার করেই টাকা নিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমার নাম উঠে আসার পরই তাকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদের পর কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা তাকে ফেরানোর নির্দেশও দিয়েছে ইডি।