বাংলা হান্ট ডেস্ক : চরম আর্থিক সংকট, আটা ময়দা নিয়ে মারামারি, জ্বালানির তীব্র অভাবে জেরবার পাকিস্তান (Economic Crisis Pakistan)। এরই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তালিবানি আক্রমণ (Taliban Attack)। মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরণের ধামাকায় রক্তাক্ত হচ্ছে আম-জনতা। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে আর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যে কোনও মুহূর্তে শুরু হবে গৃহযুদ্ধ। আর তা যদি হয়, তাহলে জিন্নাহর স্বপ্নের দেশে চেষ পেরেকটা তখনই পোঁতা হয়ে যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
চূড়ান্ত হাহাকারের মধ্যে যুক্ত হয়েছে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। খাদ্যশষ্য নিয়ে অশান্তি আগেই দেখেছ গোটা বিশ্ব। নির্বিচারে চলছে লুটপাঠ। আম নাগরিকদের প্রতিমুহুর্তে লড়াই করতে একমুঠো খাবারের জন্য। মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। আর এই দারিদ্র্যই বয়ে আনছে অপরাধমূলক প্রবনতাকে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর গত ফেব্রুয়ারি মাসে লিপিবদ্ধ অপরাধের সংখ্যা ৭ হাজারেরও বেশি। চারচাকা গাড়ি চুরি হয়েছে ১৬৩টি। মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে ৪ হাজাড ৫৪টি।
অনেকটা সিনেমার কায়দায় চুরি হচ্ছে গাড়ি। বন্দুক দেখিয়ে ছিনতাই করে নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চোরের হাত থেকে বাঁচতে সঙ্গে রাখছেন বন্দুক। গত একমাসে বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবহন মন্ত্রী সার্জিল ইনাম ইমাম জানাচ্ছেন অপরাধ রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন অপরাধীরা সঙ্গে বন্দুক রাখছে। নম্বর প্লেট ছাড়া গাড়ি ব্যবহার করছে।
করাচীতে অপরাধ করাটা কোনও বড় ঘটনা নয়। কিন্তু ইদানিংকালে সেই মাত্রা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধ এই মারাত্মক জায়গায় পৌঁছে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ জবাব চাইছে পুলিসের কাছে। আদৌও কি পুলিস পারবে এই অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করতে? পাকিস্তান পুলিসের কি ক্ষমতা রয়েছে অপরাধকে নিয়ন্ত্রণ করার?
পাকিস্তানকে (Pakistan) তাদের কঠিন সময়ে কিছুটা সাহায্য করতে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু সেই রাশিয়াকেই (Russia) ধোকা দিতে চলেছে পাকিস্তান। সেই খবর পেয়ে পাকিস্তানের উপর বেজায় চটেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আসলে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরোতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করছে পাক সেনা।