ভোট পরবর্তী হিংসায় জ্বলছে ত্রিপুরা, রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্ত শাসকদল বিজেপিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তপ্ত ত্রিপুরা (Tripura)। মিটে গেছে নির্বাচন। ঘোষণা হয়ে গেছে ফলাফল। কিন্তু ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা এখনও চলছে। হিংসা রুখতে রাজ্য প্রশাসন বারবার আশ্বাস দিচ্ছে। কিন্তু সে আশ্বাসে বিশ্বাস নেই ত্রিপুরার। অশান্তি চলছে সমান তালে। এরই মধ্যে এবার তিপ্রা মোথার (Tipra Motha) বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল শাসকদল বিজেপি (BJP)।

দিল্লির নেতারা যতই তিপ্রা মোথার সঙ্গে জোট করতে রাজি হোন না কেন, নিচু স্তরে দুই দলের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ রয়েছে চরমে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কিছু ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গেরুয়া শিবিরের দিকেও। বাম-কংগ্রেস সাংসদদের নিয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক দলের গাড়িতে হামলার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিস। এরই মধ্যে ত্রিপুরার অমপিনগরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে আসে। এই হামলার অভিযোগের তির তিপ্রা মোথার দিকেই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ত্রিপুরার গোমতী জেলার অমপিনগরে বিজয় মিছিল বের করে বিজেপি। সেই মিছিলেই চালানো হয় হামলা। এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এই হামলা চালিয়েছে তিপ্রা মোথা কর্মীরাই। ঘটনায় অন্তত ১৫ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। তাঁদের আগরতলার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এই হামলার ঘটনাকে ‘বর্বর এবং কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা রাজীব।

tripura 2

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, দক্ষিণ জেলার বেলোনিয়া এবং সিপাহিজলা জেলার নলচরে তাদের নেতাদের ওপর হামলা হয়েছে। একইভাবে, শনিবার সেপাহিজলা জেলার সোনামুড়ায় একটি সিপিএম পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক দলের ক্যাডাররা পার্টি অফিসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে, যার ফলে আগুন লেগেছে।’ পুলিস সূত্রে খবর, রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই অশান্তির শেষ কিভাবে হবে তার যেন কুল-কিনারাই খুঁজে পাচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর