বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) উন্নতি সহ্য করতে পারছে না দু’টি প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাই তারা ক্রমাগত বিভিন্ন উপায়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে সীমান্তে। এই অবস্থায় দেশকে সঠিকভাবে সুরক্ষা দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর কাছে। ফলত আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সেনা (Indian Army) যত প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়ে কাজ করবে, তত বিপদে পড়বে শত্রু।
ভারতীয় সেনাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলার গুরুদায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন যিনি, তিনি হলেন লখনউয়ের মিলিন্দ রাজ। পেশায় একজন রোবোটিক বিজ্ঞানী মিলিন্দ প্রায় একা হাতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আরও মজবুত করে তোলার দিকে কাজ করছেন। মিলিন্দের দাবি, তাঁর তৈরি ড্রোন চিন ও পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রকে রুখতে সক্ষম হবে।
ড্রোনগুলিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথাও বলেছেন এই বিজ্ঞানী। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর তৈরি ড্রোন ইতিমধ্যেই সেনায় ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে আরও ড্রোন বানাচ্ছেন তিনি। এগুলি ভবিষ্যতে সেনায় কাজে লাগবে। মিলিন্দ রাজকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালাম ‘ড্রোন ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে মিলিন্দ বলেন, আজও দু’টি দেশ একে অপরের উপর নজরদারি চালাতে ড্রোন ব্যবহার করে।
সীমান্তে মাঝে মধ্যেই এমন সন্দেহজনক ড্রোন দেখা যায়। এগুলিকে পাইলট বিহীন বোমা হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে ভবিষ্যতে। এমনকী আগামী দিনে একটি দেশের সীমান্তে বিপুল সংখ্যক ড্রোন মোতায়েন করেই শত্রু দেশের উপর হামলা চলানো যেতে পারে। এই অবস্থায় দেশের নিরাপত্তার জন্য আরও বেশি ড্রোন বানানো হচ্ছে। একইসঙ্গে অন্য দেশের ড্রোনের জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও তৈরি করা হচ্ছে। যাতে শত্রুপক্ষের ড্রোনগুলির সহজেই মোকাবিলা করা যায়।
তবে শুধু সামরিক বাহিনীর জন্যই নয়, দেশের কৃষকদের জন্যেও ড্রোন বানাচ্ছেন মিলিন্দ। এই ড্রোনগুলির মাধ্যমে মাটির দুই-তিন ফিট নীচের অবস্থা কেমন বা বীজ কোন অবস্থায় আছে, সব কিছুর উপরেই নজর রাখা যাবে। ফলে ব্যাপক লাভ হবে কৃষকদের। এই বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে রেলও ড্রোন ব্যবহার করবে। দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইনের উপর নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। মিলিন্দের তৈরি ড্রোনগুলিতে আর কোনও রিমোট থাকবে না। বরং একটি মোশন কন্ট্রোল ডিভাইস থাকবে। এটি হাতে পরে নিলেই ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।