বাংলাহান্ট ডেস্ক: মায়ানমারের (Myanmar) পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তার মধ্যেই পাকিস্তান ও চিনের কাছে ঠকে গেল গৃহযুদ্ধে জর্জরিত দেশটি। চিন ও পাকিস্তান যৌথভাবে যুদ্ধবিমান JF-17 তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই বিমানই বর্তমানে মায়ানমার বায়ুসেনার কাছে একটি বোঝা হয়ে গিয়েছে। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে এই বিমানগুলি সারাতে পাকিস্তান থেকে এক দল ইঞ্জিনিয়ার আনাতে বাধ্য হয়েছে মায়ানমার।
এই মুহূর্তে মায়ানমারের কাছে ১১টি JF-17 যুদ্ধবিমান রয়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে একটিও কাজ করতে পারছে না। অর্থাৎ প্রত্যেকটি বিমানই ধীরে ধীরে তাদের কাছে জঞ্জাল প্রমাণিত হচ্ছে। তবে মায়ানমারের এই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছে পাকিস্তান। তাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল পাঠিয়েছে তারা। এই পদক্ষেপের ফলে চিন, পাকিস্তান ও মায়ানমার আশা করছে যে তাদের মধ্যে সামরিক চুক্তি আরও মজবুত হবে।
সূত্রের খবর, মায়ানমার বায়ুসেনার অফিসাররাও পাকিস্তানে ৬ মাসের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন। একটি রিপোর্ট অনুসারে, এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও মায়ানমার সেনার মধ্যে বিশ্বাস আরও পোক্ত হচ্ছে। অন্যদিকে মায়ানমারে এখনও একটি গৃহযুদ্ধ চলছে। ইতিমধ্যেই অং সান সু কি-র সমর্থকরা অনেক জায়গাই দখল করে ফেলেছে। এই বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মায়ানমার সেনা।
বিক্ষোভকারীদের উপর বোমাবর্ষণ করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান ও চিনের থেকে JF-17 যুদ্ধবিমান কিনেছিল তারা। কিন্তু তাতে লাভ হল না। বরং দু’টি দেশের কাছে চূড়ান্ত ঠকে যেতে হল তাদের। এমনকী, মায়ানমার সেনা দেশটিকে কব্জা করার পর পশ্চিমী দেশগুলি তাদের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এর জন্যই মায়ানমারকে চিন ও পাকিস্তানের থেকে সাহায্য চাইতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কিনত মায়ানমার। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সেই লেনদেন আপাতত বন্ধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে আর্জেন্তিনাকে JF-17 যুদ্ধবিমান বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল চিন ও পাকিস্তান। তবে লাতিন আমেরিকার দেশটি সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। চিনের থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে এই যুদ্ধবিমানটি বানিয়েছে পাকিস্তান। এই বিমানটি বিশ্বের সব বায়ুসেনার কাছে বেচার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু আপাতত তা আর হচ্ছে না।