বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত চলছে বাংলা জুড়ে। এই আবহে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) প্রাথমিকে (Primary Teacher) নতুন করে ১২ হাজার নিয়োগের (Recruitment) কথা জানালেন। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমার কাছে যা খবর আছে সেই অনুযায়ী আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিকে ১২ হাজার নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে। সেটা বড়জোর মে মাস হতে পারে।”
একই সাথে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান আরো শূন্য পদ চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সব জায়গাতেও ধাপে ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হয়েছিল গত ডিসেম্বর মাসে। বেশ কয়েক বছরের জটিলতার শেষে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই প্রাথমিকে এপ্রিল মাস থেকে নিয়োগ শুরু হতে পারে।
বিগত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। সেই দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এই আবহে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
অন্যদিকে, সরকার আশঙ্কা করছে স্বার্থান্বেষী কিছু দল বা মানুষ সরকারকে কলুষিত করার জন্য ইচ্ছা করে মামলা করতে পারে। তাই বিকাশ ভবন আগে থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করছে। শেষ পর্যন্ত কতটা সুষ্ঠুভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সবাই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা ছিল। এবার শিক্ষামন্ত্রীর কথায় মুখে হাসি ফুটল চাকরিপ্রার্থীদের।