বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan) একটি বিয়ে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিয়েটি চলে এসেছে খবরেও। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াও এই মুহূর্তে এই বিয়ে নিয়েই সরগরম। এই বিয়েতে পাত্রীকে উপহার দিয়ে কার্যত সাজিয়ে তুলেছেন তাঁর বাড়ির লোক। উপহারের বহর ও মূল্য জেনেই এই বিয়ের চর্চা করছেন সকলে। পাত্রীর মামারা প্রায় তিন কোটি টাকারও বেশি মূল্যের উপহার দিয়েছেন আদরের ভাইজিকে। এই বিয়েবাড়িটি অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজস্থানের নগৌর জেলায়।
জানা গিয়েছে, বিয়েতে পাত্রীর দাদু এবং মামা নগদ ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন। পাশাপাশি, ২৩ লক্ষ টাকা মূল্যের গয়না ও জামাকাপড় এবং অন্যান্য সামগ্রী একটি ট্র্যাক্টর-ট্রলিতে করে নিয়ে আসেন তাঁরা। এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় আমন্ত্রিত অতিথিদের। পরিবার সূত্রে খবর, ঘেবরি দেবী এবং ভানওয়ারলাল পোতালিয়ার কন্যা অনুষ্কা বুধবার সাত পাকে বাঁধা পড়েন।
পাত্রীর দাদু হলেন বুরডি গ্রামের বাসিন্দা ভানওয়ারলাল গরওয়া। তিনি এবং তাঁর তিন ছেলে হরেন্দ্র, রামেশ্বর এবং রাজেন্দ্র অনুষ্কাকে একাধিক উপহার দেন। বাপের বাড়ির লোকের এই ব্যবহারে উচ্ছসিত হয়েছেন ঘেবরি দেবী ও তাঁর পরিবার। পাত্রীর দাদু ভানওয়ারলাল বলেন, অনুষ্কা হলেন তাঁদের পরিবারের একমাত্র মেয়ে। তাঁর কারণেই পরিবারের তিন ছেলের এত প্রতিপত্তি হয়েছে।
Mayra.Garwa parivar Burdi jayal(Nagaur) Choudhary garwa Jato ne ferse etihas rcha ha। pic.twitter.com/OmaTqOcFz0
— sureshgarwa8@gmail.com so (@sureshgarwa11) March 16, 2023
তাই তাঁদের বাড়ির মেয়ের বিয়েতে তাঁকে উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন তাঁরা। এই বিয়েতে ৮১ লক্ষ টাকার পাশাপাশি সাড়ে ১৬ বিঘা চাষযোগ্য জমি, নগৌর রিং রোডের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি, ৪১ তোলা সোনা এবং ৩ কিলো রুপোর গয়নাও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি অনুষ্কাকে একটি নতুন খাদ্যসামগ্রীর বস্তা ভর্তি ট্রাক্টর-ট্রলি এবং একটি স্কুটি উপহার দিয়েছেন। এই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে গিয়েছেন। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার চর্চা চলছে।
এই প্রথার নাম হল মায়রা। পাত্রীর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে এই প্রথা পালন করার রীতি রয়েছে। এটিকে ‘ভাত’ও বলা হয়। এই প্রথায় পাত্রীর মামারা তাঁকে জামাকাপড়, গয়না, নগদ টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দেন। পাত্রীর মায়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের জন্যেও জামাকাপড় ও গয়নাগাঁটি দেওয়ার চল রয়েছে এই প্রথার অধীনে। মারওয়ারে এই প্রথাকে খুবই সম্মানের চোখে দেখা হয়। বহু শতাব্দী ধরেই মানুষ এই প্রথা পালন করে আসছেন।