বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই মাসের শেষে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার সংশোধন হওয়ার বিষয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রবীণ নাগরিকদের একাংশ মনে করছেন যে, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের (SCSS) ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা বাড়তে পারে সুদের হার। যদিও SAG ইনফোটেকের MD অমিত গুপ্ত অবশ্য জানিয়েছেন, ‘SCSS-র সুদের হার আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে SCSS-এর সুদের হারে পরিবর্তন আনার পরেই সুদের হার ৮% হয়ে যায়। এখন যদি তার থেকেও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় তাহলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম অত্যন্ত লাভজনক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সুদের হার বৃদ্ধির পিছনে অবশ্য মূল কারণ হিসেবে ‘গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজে’-র রিটার্ন বৃদ্ধির হিসেবই উঠে আসছে।
যদিও, স্বল্প-মেয়াদি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার বাড়ার বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী নন মাইফান্ডবাজার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের CEO ও প্রতিষ্ঠাতা বিনীত খান্দারেও। যেহেতু কিছুদিন আগেই SCSS-র সুদের হার সংশোধন করা হয়েছে তাই ফের সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিনীত। তবে, খুব তাড়াতাড়িই ২০২৩ সালের বাজেটে SCSS ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।
ইতিমধ্যেই অমিত গুপ্ত জানিয়েছেন, ‘SCSS অ্যাকাউন্টে ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকরা সুদবাবদ আয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। প্রবীণ নাগরিক দম্পতিরা একত্রে রাখলে ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত সমন্বিত সুদবাবদ আয় করতে পারবেন প্রতি মাসে। বিনীত খান্দারেও অবশ্য অমিত গুপ্তর সাথে এই বিষয়ে একমত।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে বলেছিলেন, প্রবীণ নাগরিকদের তাঁদের SCSS অ্যাকাউন্টে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করার অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, সাধারণত SCSS অ্যাকাউন্টের টাকা ৫ বছরে ম্যাচিওর হয়। এটি অ্যাকাউন্ট ধারক আরও তিন বছরের জন্য বাড়ানো যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের সুদ বৃদ্ধি হয় কী না সেটার উত্তর সময়ই দিতে পারবে।