বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে গত সপ্তাহে দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছে ইডি। তারপর থেকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের একে একে দিল্লিতে ইডির দফতরের ডেকে পাঠাচ্ছেন তদন্তকারীরা। দিন দুয়েক আগেই কেষ্টর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মনীশ কোঠারিকে (Manish Kothari) রাজধানীতে দীর্ঘক্ষন জেরা করার পর তদন্তে অসহযোগীতার অভাবে গ্রেফতার করে ডিরেক্টরেট। শনিবার সেই কোঠারিকেই আদালতে পেশ করে বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি (ED)।
প্রসঙ্গত, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কাঁদো কাঁদো স্বরে মনীশ বলেছিলেন অনুব্রতর হিসেব রক্ষক হওয়া তার একমাত্র ভুল। দুর্নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই তিনি যুক্ত নন বলেও দাবি করেছিলেন। অন্যদিকে, এদিন হেফাজত শেষে মনীশকে আদালতে পেশ করে ইডির দাবি, অনুব্রতর সাহায্যেই গত পাঁচ-সাত বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করে বসে রয়েছেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে পেঁয়াজের খোসার মতো একে একে বেরিয়ে আসছে কোঠারির বিপুল সম্পত্তির খবর। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই দাবি, মণীশের সম্পত্তির খতিয়ান নিতে গিয়ে জানা গিয়েছে বোলপুরের একাধিক জায়গায়, কোনায় কোনায় মণীশের জমির হদিশ মিলেছে। যার পরিমান কোথাও তিন বিঘা তো কোথাও আবার পাঁচ কাঠা। তথ্য অনুযজার, সব মিলিয়ে গত ৬ বছরে মনীশ প্রায় ১৫ কোটি টাকার জমি কিনেছেন বলে দাবি ইডির।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দাগ নম্বর ধরে ধরে সেই জমির তালিকা আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। বীরভূমের বোলপুরের রূপপুর মৌজা, গোপালনগর, দারোকানাথপুর, কঙ্কালীতলা, সুরুল-সহ প্রায় সব জায়গাতেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশের বিপুল জমি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
শুধু তাই নয় এসব ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে কোঠারির। এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। অন্যদিকে, কলকাতার নিউটাউনেও মণীশের বড় অঙ্কের সম্পত্তির রয়েছে বলে খবর মিলেছে। যা নিয়ে তদন্ত চলছে। ইডি সূত্রে খবর, লাগাতার জেরায় অনুব্রত নিজেকে নির্দোষ বলে তার সম্পত্তি, টাকা-পয়সা লেনদেনের গোটা বিষয়টাই মনীশের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। আর মণীশের দাবি তিনি যা করতেন তার সবটাই হত অনুব্রতর নির্দেশে। এবার পরবর্তীতে এই তদন্ত কোন মোড় নেয় সেটাই এবার দেখার বিষয়।