বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরোনোর জন্য প্রয়োজন আর্থিক সাহায্যের। যেটি তাদেরকে দিচ্ছে না কোনও দেশই। আর্থিক সাহায্যের আশায় সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পৌঁছে গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (United Arab Emirates)। কিন্তু পাকিস্তানকে তারা কোনও রকম অর্থসাহায্য করেনি। যদিও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম অর্থ সাহায্য পায়নি পাকিস্তান (Pakistan)। এরই মধ্যে পাকিস্তানকে জোড়া ধাক্কা দিল দু’টি মুসলিম দেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব (Saudi Arabia) মিলে জোড়া ধাক্কা দিল পাকিস্তানকে। যে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের মারামারি, সেই কাশ্মীরে বিরাট অঙ্ক বিনিয়োগের কথা জানাল তারা। জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ইমার গ্রুপ কাশ্মীরে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার আশ্বাস দিয়েছে। জম্মু ও শ্রীনগরে একটি বিরাট মল এবং আইটি টাওয়ার নির্মাণের কথা জানিয়েছে তারা। এগুলি নির্মাণে খরচ হবে ২৫০ কোটি টাকা।
প্রায় ১০ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে এই মল তৈরি করবে দুবাইয়ের জনপ্রিয় এই সংস্থা। এই প্রথম কোনও বিদেশি সংস্থা ভারতে এত বড় আকারের মল তৈরি করতে চলেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে আর্টিকেল ৩৭০ তুলে দেওয়ার পর এটিই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ হতে চলেছে। সূত্রের খবর, এই মলে মোট ৫০০টি দোকান থাকবে। দিল্লির একটি সংস্থা এবং ইমার গ্রুপ মিলে যৌথভাবে এই মলটি তৈরি করবে বলে খবর। আগামী ২০২৬ সালে এই মলের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই বিনিয়োগ শুধুমাত্র কাশ্মীরের উন্নয়নই করবে না। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সম্পর্কও আরও মজবুত কজরতে সাহায্য করবে। গত বছর জানুয়ারিতে দুবাইয়ে বিনিয়োগকারীদের বৈঠকে এই মল সংক্রান্ত চুক্তি সই করা হয়েছিল। জম্মু কাশ্মীর সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সেখানে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এর মধ্যে রয়েছে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, একটি মেডিক্যাল কলেজ, একটি হাসপাতাল, একটি লজিস্টিক্স সেন্টার, আইটি টাওয়ার এবং মাল্টিপারপাস টাওয়ার।
একদিকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কাশ্মীরে ঢালাও বিনিয়োগ করছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানকে কোনও রকম ঋণ দিতে নারাজ তারা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং সৌদি আরব – দু’দেশই পাকিস্তানকে ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে। শেহবাজ শরিফের আমিরশাহি সফরের সময় তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার ইঙ্গিত দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন শেহবাজ। কিন্তু একাধিক কারণে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই অবস্থানের বিরোধিতা করতে অক্ষম পাকিস্তান।