আমার শ্বশুর হলদে পেঁচা! পুষ্পিতা-অঙ্কুশের কাণ্ডে মাটিতে গড়াগড়ি রচনা, দিদি নাম্বার ১-এর সবথেকে হাসির এপিসোড এটাই

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নাচ, গান, কুইজের হরেক নন ফিকশন শো আসবে আর যাবে। কিন্তু ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এর (Didi Number One) জনপ্রিয়তা যেমন ছিল তেমনি থাকবে। বিগত আটটি সিজন ধরে একটানা এই শোকে ভালবাসা দিয়েছেন দর্শকরা। নবম সিজনও চলছে সাফল্যের সঙ্গে। সপ্তাহের সাতটা দিনই সম্প্রচার হওয়া সত্ত্বেও টিআরপি এখনো এক বা দু নম্বর স্থানের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে দিদি নাম্বার ওয়ানের।

এত বছর ধরে এই শো একা হাতে সামলে আসছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনেমা আর না করলেও দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ ছেড়ে যেতে পারেননি তিনি। মাঝে একটি সিজন দেবশ্রী রায় এবং অপর এক সিজন জুন মালিয়া সঞ্চালনা করলেও রচনাই যে এই শোয়ের জন্য পারফেক্ট তা এখন প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

Didi number one

মূলত আমজনতার জন্য হলেও শোতে মাঝেমধ্যে তারকারাও আসেন প্রতিযোগী হয়ে। তুলে ধরেন নিজেদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের গল্প। শেয়ার করেন নানান অভিজ্ঞতা। কখনো প্রতিযোগীদের কথায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ, আবার কখনো সৃষ্টি হয় দমফাটা হাসির পরিস্থিতি। এমন অনেক মজার এপিসোডেরই সাক্ষী থেকেছেন দর্শকরা। কিন্তু জানেন কি দিদি নাম্বার ওয়ানের সবথেকে হাসির পর্ব কোনটা?

বেশ কয়েক বছর একটি সেলিব্রিটি স্পেশ্যাল এপিসোড হয়েছিল। সেখানে প্রতিযোগী হিসাবে এসেছিলেন অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, নুসরত জাহান, ময়না মুখোপাধ্যায়, বুলবুলি পাঁজা। গণ্ডগোলটা হয় হেডফোন রাউন্ডে। প্রতিযোগীদের কানে হেডফোনে বাজবে গান আর একজন মুখে কিছু শব্দ বলবে, যেগুলো আন্দাজ করে বলতে হবে। এই হল খেলা।

didi number one

ওই এপিসোডে হেডফোন রাউন্ডে এসেছিলেন অঙ্কুশ হাজরা। পুষ্পিতার সময় আসতেই হেডফোন কানে লাগিয়ে তিনি বলে ওঠেন, আগের রাউন্ডে কিচ্ছু পারেননি। এই রাউন্ডে সবগুলো বলতেই হবে তাঁকে। শুরু হল খেলা। প্রথম শব্দ ছিল চুরমুর। পুষ্পিতা বললেন, জুতোয় ফোসকা। অঙ্কুশ প্রথমেই হতভম্ব।

https://youtu.be/XawR82qMnY4

ওই শুরু। তারপর থেকে কয়েকটা বললেও অঙ্কুশের বলা শব্দগুলো পুষ্পিতা এমন আন্দাজ করছিলেন যে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ার জোগাড় রচনা, নুসরতদের। লক্ষ্মীপেঁচাকে বাঁচা, মাচা, কলকে বাঁচা অনেক কিছু বলে যান পুষ্পিতা। শেষে তাড়া লাগান অঙ্কুশকে, তাড়াতাড়ি বল! ব্যস, অঙ্কুশও লক্ষ্মীপেঁচা লক্ষ্মীপেঁচা বলে চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু পুষ্পিতা সেটা বুঝতে পারলে তো?

rachana didi number

ওদিকে ঘন্টা বেজে খেলা শেষ। কিন্তু অঙ্কুশ আর পুষ্পিতা তখনো পাল্লা দিয়ে চিৎকার করছেন ‘চুরমুর’ ‘লক্ষ্মীপেঁচা’। অবস্থা এমনি হয় যে নুসরত আর রচনা দুজনেই রীতিমতো মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে হাসতে শুরু করেন। শেষমেষ লক্ষ্মীপেঁচা বলে তারপর হেডফোন খোলেন পুষ্পিতা। দমফাটা হাসির এই এপিসোডটির ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয় নেটমাধ্যমে। দর্শকদের বিচারে এটাই সবথেকে হাসির পর্ব দিদি নাম্বার ওয়ানে।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর