কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার! অয়ন শীলের দৌলতেই সেই চাকরি, স্বীকারোক্তি শ্বেতার বাবার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে (Ayan Shil) গ্রেফতারির পর এবার লাইমলাইটে রহস্যময়ী নারী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে এবার অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী (Sweta Chakraborty)। পেশায় মডেল শ্বেতা কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারও। সঠিক পথে চাকরি, নাকি এখানেও দুর্নীতি? উত্তর দিলেন খোদ শ্বেতার বাবা।

পূর্বেই ইডি দাবি করেছিল অয়নের ফ্ল্যাটে ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নারী যোগ উঠে পাওয়া গিয়েছে। এবার সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এল শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। সূত্রের খবর, কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন তিনি। জানা গিয়েছে, সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার করা অ্যাকাউন্টের নথিতে এই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে।

   

নৈহাটির বাসিন্দা অয়ন শীলের বান্ধবী সেই শ্বেতা চক্রবর্তীই এবার ইডি-র স্ক্যনারে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই খবর, এই শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের বিপুল পরিমান লেনদেনের হদিশ মিলেছে। শ্বেতার গাড়ির নথিও নাকি অয়নের অফিস থেকে মিলেছে। অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে এই যুবতীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

কামারহাটি পুরসভা সূত্রে খবর, গত শনিবার অয়নের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি হওয়ার পর থেকেই শ্বেতা পুরসভায় কাজ করতে আসছেন না৷ এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৬ সালে পুরসভার চাকরিরত শ্বেতা৷ নৈহাটির জেলেপাড়ার বাসিন্দা শ্বেতা। অন্যদিকে, অয়নের সৌজন্যেই শ্বেতার চাকরি হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন শ্বেতার বাবা৷

ed

ইতিমধ্যেই এই শ্বেতার একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ইডি৷ যার পরিমান চমকে দেওয়ার মতো। কিভাবে এত কম সময়ে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন শ্বেতা? এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডির সন্দেহ, শ্বেতার এই বিপুল সম্পত্তিতেও দুর্নীতির কালো টাকার অংশ রয়েছে। অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতাকে তলব করা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর