বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও বাংলায় নারী নির্যাতন। এবার লালসার শিকার এক নাবালিকা। মালদহে (Malda) স্কুলে ঢুকে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মালদহের গাজোলের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকা। স্কুলের মোট পড়ুয়া ৫০-এর কম। শিক্ষক মাত্র একজন। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার অসুস্থ ছিলেন শিক্ষক। ফলত তিনি স্কুলে যেতে পারেননি। তবে স্কুলের পাশে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা জানানো ছিল। প্রয়োজনে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের সাহায্যের কথাও বলা ছিল। এদিকে শিক্ষক আসবেন না জেনে অধিকাংশ পড়ুয়াই স্কুলে আসেননি। এসেছিল মাত্র ২ জন। সেটাই কাল হল।
সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে শিক্ষক নেই জেনে স্কুলে ঢোকে ৩ বহিরাগত যুবক। অভিযোগ, তারাই স্কুলে থাকা ২ ছাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করে। কোনওক্রমে এক ছাত্রী চম্পট দিলেও অপরজন তা পারেনি। অভিযোগ স্কুলেই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়।
এদিকে বান্ধবী পালিয়ে গিয়ে নাবালিকার বাড়িতে বিষয়টা জানায়। এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা স্কুলে গিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে। ওইদিনই পুলিসে জানানো হয় গোটা ঘটনাটি। এরপরই সোমবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিসের তরফে।
এই ঘটনায় গাজল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তাতেই সামনে আসে এই ঘৃণ্য ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৬ডিএ ধারায় মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। সাম্প্রতিক গঙ্গারামপুরে একটি গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে বীরভূমেও। গঙ্গারামপুরে গণধর্ষণের ফলে এক আদিবাসী মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এক আদিবাসী যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।