বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে একটানা সংবাদে শিরোনামে রয়েছেন বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। টলিউডের অভিনেতা হিসাবে যতটা না পরিচিতি তিনি পেয়েছেন, কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৪৪ লক্ষ টাকার গাড়ি উপহার নিয়ে তার থেকে দ্বিগুণ লাইমলাইট পেয়ে গিয়েছেন বনি। সঙ্গে অবশ্য এসেছে ট্রোল। দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় ফ্লপ হয়েছে বনির নতুন সিনেমাও। খারাপ সময়টা কীভাবে সামলাচ্ছেন অভিনেতা?
এক সাক্ষাৎকারে বনি বলেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়াতে চান না বলেই টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। আর যারা বলছেন, তাঁর পারিশ্রমিকই নাকি এত বেশি নয়, তাদের উদ্দেশে বনির বার্তা, নিজের উপার্জনের টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। আর এটা সাদা টাকা, কালো নয়। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন, নিজের উপার্জন থেকে দিতে হল বলে কিছুটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তাঁর।
বনির দাবি, তিনি অন্যায় করেননি, ‘ভুল’ করেছেন। তাই কিছুটা নার্ভাস লাগলেও আপনজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এই পরিস্থিতি থেকে বেরোন তিনি। নিজের ভাবমূর্তি রক্ষা করারও ব্যাপার ছিল। যদিও সেটা কতটা বাঁচানো গিয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। কারণ বনির ‘লিডিং মোস্ট হিরো’ মন্তব্য নিয়ে এখনো খিল্লি চলছে নেটপাড়ায়।
এতে অবশ্য বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না বনি। তাঁর কথায়, ‘২০১৪ তে যেদিন থেকে অভিনয়ে পা রেখেছি, সেদিন থেকে আমাকে নিয়ে ট্রোলিং হচ্ছে। আমার গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। যারা ট্রোল করে তাদের আমি সম্মান করি। কারণ এটাই ওদের অনেকের উপার্জনের পথ। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে খারাপ লাগে’।
তিনি আরো বলেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছোট করে দেখা একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বেশি উপার্জন হতে পারে না। বাংলা ছবিকে যতদিন না বড় জায়গায় ভাবা হবে ততদিন ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি সম্ভব নয়। একজন শিল্পীর বিপদের সময়ে টলিউডের একজোট হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন বনি।
তবে একটা বিষয়ে তিনি বাস্তবিকই ক্ষুব্ধ। প্রেমিকা কৌশানিকে মাঝে টেনে আনায় বিরক্ত বনি। তাঁর বক্তব্য, যা করেছেন তিনি করেছেন। কৌশানি একজন পৃথক শিল্পী। কিন্তু যেহেতু তিনি বনির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাই তাঁকেও মাঝে আনা হয়েছে। যদিও কৌশানি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী বলে দাবি করেন বনি।
Made in India