বগটুই হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে শুভেন্দু অধিকারী, স্বজনহারাদের পাশে নিয়ে তোপে দাগলেন পুলিশকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বগটুই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হল। বারো মাস কেটে যাওয়ার পরেও এখনো সেই হত্যালীলার কথা ভুলতে পারেনি গ্রাম। এক বছর আগের আজকের দিনে বগটুইতে যে হত্যালীলা ঘটেছিল তাতে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলা। ২০২২ সালের ২১ শে মার্চ সময়টা তখন রাত সাড়ে নটা। বীরভূম জেলার বগটুই গ্রামে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে পোড়া মাংসের গন্ধ।

তার কিছুক্ষণ আগে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয় রামপুরহাটে (Rampurhat) জাতীয় সড়কে। অভিযোগ সেই খুনের (Murder) বদলা নিতেই হামলা করা হয় গ্রামে। সেই হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। এই হত্যালীলা নিয়ে আজও উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। এরপর ঘটনার তদন্ত করতে গ্রামে পৌঁছেছিল সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। গিয়েছিলেন একাধিক দলের নেতারা।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার সেই হত্যালীলার বর্ষপূর্তিতে পৌঁছলেন বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি সভা থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের শাসক দলকে। বিজেপির পাশাপাশি বগটুই গ্রামে তৃণমূলও পৃথক কর্মসূচি নেয়। গ্রামে সকালে তৃণমূলের ডাকে হয় শহীদ স্মরণ। এছাড়াও গ্রামে ঢোকার রাস্তা মুড়ে ফেলা হয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) ফ্লেক্স-ব্যানারে।

Subhendu Adhikary

নিহতদের পরিবারকে পাশে নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “গত বছর এখানে যে হত্যালীলা হয়েছিল তাতে পুলিশের কি ভূমিকা ছিল তা আপনাদের জানা। পুলিশ ছাড়াও বালি-পাথর-গরু-কয়লা যিনি সব নিয়ন্ত্রণ করতেন সেই অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে। তার নির্দেশেই এখানে পুলিশকে আসতে দেওয়া হয়নি। যারা কোনও রাজনীতি করেন না, ঘর সংসার সামলান, সেই নিষ্পাপ মহিলাদের খুন করা হয়েছে। এখানে আমরা ভোট চাইতে আসিনি। আমরা মানুষের সাথে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।”

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর