পার্থর কাছে ১১ জনের প্রাইমারি চাকরির সুপারিশ! প্রকাশ্যে সেই লেটার হেড, বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি। সংশোধনাগারে বন্দী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) মতো তৃণমূলের (Trinamool Congress) যুব নেতারা। তদন্তে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরীক্ষায় ভালো ফল করে নয়, বরং তৃণমূল নেতাদের সুপারিশেই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে। এরই মধ্যে বর্ধমানের এক তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) ‘সুপারিশপত্র’ সামনে এল।

অবশ্য ওই ‘সুপারিশপত্র’ সঠিক কিনা তা যাচাই করে দেখেনি বাংলা হান্ট। দেখা যাচ্ছে বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক তাঁর বিধায়কের প্যাডে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন ১১ জনের নাম। প্রাইমারি স্কুলে চাকরির জন্য সেই ‘সুপারিশপত্র’ তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ওই চিঠি লেখা হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।

ওই সুপারিশপত্র প্রকাশ্যে আসার পরই এই বিষয়ে শোরগোল শুরু হয় জেলা রাজনীতিতে। অবশ্য এই বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দিতে রাজী নন নিশীথ মালিক। মঙ্গলবার দলীয় এক কর্মসূচিতে তাঁকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে কিছু জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।’

partha

চাকরির ওই সুপারিশপত্র নিয়ে সরব হয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের আমলে যে দুর্নীতি হয়েছে তা গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বড় নিয়োগ দুর্নীতি। এক সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের যে গর্ব ছিল তা এরা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। তারই একটি নিদর্শন হিসেবে উত্তর বিধায়ক নিশীথ মালিক একটি লেটার হেড সামনে এসেছে। সেই চিঠিতে ১১ জনের নামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওদের নাম কেন তিনি সুপারিশ করেছিলেন তা আমরা বিজেপির পক্ষ থেকে জানতে চাই। কত টাকার বিনিময়ে ওইসব লোকজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়। কারা মেধাবী যুবকদের ভবিষ্যত নষ্ট করল তা মানুষের জানা উচিত।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর