চিনের ঋণের ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশেরও কি হবে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হাল? আতঙ্কে শেখ হাসিনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিন (China) যে দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করেছে, তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। দু’দেশেই ভয়ানক অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইদানিং চিনকে বন্ধুত্ব করতে দেখা গিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গেও। এ বার এ নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশ খুবই ‘সতর্ক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, ঢাকা কোনও ভাবেই কোনও নির্দিষ্ট দেশ বা বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল নয়। একটি সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা সব সময়েই সতর্ক থাকছি। ঋণ নেওয়ার থাকলে আমরা সাধারণত বিশ্ব ব্যাঙ্ক বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের থেকে নিই। চিনে থেকে খুবই অল্প পরিমাণ ঋণ নিয়েছি আমরা। সেটি একেবারেই শ্রীলঙ্কা বা অন্যান্য দেশের মতো নয়।”

sheikh hasina

উল্লেখ্য, বিশ্বের একাধিক ছোট দেশের উপর ঋণের বোঝা চাপাচ্ছে চিন। শ্রীলঙ্কা তাদের হাম্বানটোটা  বন্দর ৯৯ বছরের জন্য চিনকে লিজ দিয়েছে। এরপরেই চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের জেরে চিন্তা বাড়তে থাকে বিশ্বের রাজনৈতিক মহলে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও একাধিক ছোট দেশকে পরিকাঠামো বানানোর জন্য কোটি কোটি ডলার ঋণ দিয়ছে চিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই ঋণ শোধ করতে পারছে না তারা। ফলে দেখা দিচ্ছে অর্থনৈতিক সঙ্কট। 

padma bridge

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ শোধ করতে না পারায় চিন সেই সব দেশের পরিকাঠামো নিজেদের ব্যবহারের জন্য অধিগ্রহণ করে নিচ্ছে। বাংলাদেশও কিছু পরিমাণ অর্থ চিনের থেকে ঋণ নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামি লিগের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “আমরা কোনও দেশের উপর নির্ভরশীল নই।” এদিকে আমেরিকার মতে, চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এই মতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা। 

তিনি জানিয়েছেন, যে দেশগুলি তাদের উন্নয়নে সাহায্য করছে, তাদের সকলের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশ। তাই চিনকে নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেন, “আমরা অনেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। যেমন আমেরিকা, চিন এবং ভারত। আমাদের উন্নয়নে যারা সাহায্য করছে, তাদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ। তবে তিনি জানিয়েছেন যে চিন বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা উন্নয়নমূলক প্রকল্পে তাদের সাহায্য করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে চিন। হাসিনা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বাংলাদেশ কোনও দেশের থেকেই অযথা কোনও ঋণ নেয়নি। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর