বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি বিহারের পটনা রেল স্টেশন (Patna Railway Station) খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। ভুলবশত সেখানে তিন মিনিট ধরে একটি প্ল্যাটফর্মের টিভি স্ক্রিনে পর্ন ক্লিপ চালানো হয় বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত সেই ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত টিভিতে অন্য কিছু চালানো হলেও ততক্ষণে টুইটার ছেয়ে গিয়েছে পটনার ওই কাণ্ডের ভিডিওতে। পটনা রেল স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মের টিভি স্ক্রিনে চোখ যেতেই চমকে ওঠেন অপেক্ষারত যাত্রীরা।
তাঁরা দেখেন সেখানে রীতিমতো পর্ন চলছে! অথচ সেখানে সাধারণত বিজ্ঞাপন চলার কথা। অনেক যাত্রীই দ্রুত মোবাইল ফোনে এই কাণ্ডের ভিডিও তুলতে থাকেন। অন্যদিকে, অন্য অনেক যাত্রী মিলে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে রেলের তরফে ওই পর্ন ক্লিপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু টানা তিন মিনিট ধরে ওই ক্লিপ চলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
पटना जंक्शन पर लगी स्क्रीन पर चल गई Porn film, एजेंसी के खिलाफ FIR दर्ज.#Patna @dm_patna #Porn @NitishKumar @RailMinIndia pic.twitter.com/wsckg6OOJB
— Pawan Kumar Singh🇮🇳 (@pawankumar16121) March 20, 2023
তড়িতগতিতে ওই ঘটনা ভাইরাল হয়ে যায়। টুইটারেও পটনা রেল স্টেশনের এই কাণ্ড ট্রেন্ড করতে থাকে। তবে ভারতে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেনি। এর আগে দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও নবি মুম্বইয়ের এক ট্র্যাফিক সিগন্যালে চলা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। অভিযোগ, ওই ভিডিওতে অশ্লীল গালাগালি লেখা ছিল।
এছাড়াও চলতি বছরের মার্চ মাসে জুম কলের মিটিংয়ে এক ব্যক্তি অশ্লীল ছবি শেয়ার করেছিলেন। ওই মিটিংয়ে সেই সময় ২২০ জন ছিলেন। প্রত্যেকেই সেই ছবি দেখেছিলেন। এই ঘটনাটিও অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। পাশাপাশি, আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে এক ব্যক্তি হাজী আলি দরগার ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। সেখানে লেখা ছিল ‘রোজ ধূমপান করুন।” এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বহু মানুষ এর সমালোচনা করেন।
পটনা রেল স্টেশনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই রেলের তরফে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই রেল স্টেশনের টিভি স্ক্রিনগুলিতে বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য তথ্য চালনার দায়িত্বে রয়েছে দত্ত কমিউনিকেশন নামক একটি সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংস্থাটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছে রেল। সূত্রের খবর, ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই ওই সংস্থাটিকে ব্ল্যাকলিস্ট করে দিয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে রেলের আর কোনও প্রকল্পে হাত দিতে পারবে না সংস্থাটি।