‘স্বচ্ছতা ছিল বলেই …’ তৃণমূলের অভিযোগের পর এবার স্ত্রীর চাকরি নিয়ে মুখ খুললেন সুজন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। বিগত কিছুমাস ধরে শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়ানোর যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল। নিজেদের ওপরে ওঠা অভিযোগ সরিয়ে পাল্টা বাম জমানায় নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। সুপারিশেই চাকরি হয়েছিল বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর। গতকাল সেই যুক্তির স্বপক্ষে একটি চিঠিও টুইট করে করে তৃণমূল। শুক্রবার সেই চিঠি নিয়েই মুখ খুললেন সুজন চক্রবর্তী।

ঘটনাটা কী? গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির একটি প্রতিলিপির ছবি পোস্ট করে তৃণমূল। ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ইনস্ট্রুমেন্ট কিপার পদে চাকরিতে যোগ দেন সুজনবাবুর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্য। সেই মর্মে কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা তার সেই চিঠি নথি হিসেবে তুলে টুইট করে তৃণমূল।

   

শাসকদলের অভিযোগ, কোনো পরীক্ষা দেননি সুজনবাবুর স্ত্রী, পাশাপাশি কোথাও কোনও নামও ছিল না। শুধুমাত্র সুপারিশের ভিত্তিতেই সেই চাকরি হয়েছিল। বর্তমানে সেখানে কর্মরত না থাকলেও পেনশন পান তিনি। এরপরেই মুহূর্তের মধ্যে সমাজমাধ্যমে সেই চিঠি ছড়িয়ে পরে। তবে দেখা যায় যেই চিঠি নিয়ে সুপারিশের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল তা আসলে জয়েনিং লেটার।

sujan c

এই প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খোলেন সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেন, “কোনও সমস্যা তো দেখতে পাচ্ছি না। এটা আমার স্ত্রীর জয়েনিং লেটার। টুইটে পেনশনের উল্লেখ আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পেনশন তো পাওয়ারই কথা। তৃণমূল যদি সমস্যাটা তুলে ধরে তাহলে বুঝতে সুবিধা হয় যে কোথায় অসংগতি রয়েছে।” পাশাপাশি সুজণবাবুর দাবি, “৮৭ সালের একটি জয়েনিং লেটারও রয়েছে। তাহলে আপনারাই দেখুন গোটা বিষয় কতটা স্বচ্ছ।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর