বাংলা হান্ট ডেস্ক : তোলপাড় পাকিস্তান (Pakistan)। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) হনুমানকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতির অভিযোগের ভিত্তিতে সে দেশের সিন্ধ প্রদেশে (Sindh) গ্রেফতার হলেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে খবর।
অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা ওই সাংবাদিকের ছবিও ভাইরাল (Viral) হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকায় সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ করেছে সিন্ধের পুলিস প্রশাসন। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরির চক্রান্ত প্রমাণিত হলেই অন্তত ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এই সাংবাদিকেরও এমনই কড়া শাস্তি হবে কিনা, তা এখনও স্থির নয়। তবে ফের পাকিস্তানের মাটিতে আরও একবার হিন্দু ধর্ম অবমাননার চেষ্টা নিয়ে শোরগোল গোটা দেশ জুড়ে।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ধৃত সাংবাদিকের নাম আসলাম বালোচ। অভিযোগ উঠছে, তিনি নিজের ফেসবুকে হনুমানের (Hanuman) একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘ক্যাপটেন শ্রীরাম পার্কওয়ালে।’ অর্থাৎ হনুমানকে ভগবান নয়, পার্কে থাকা জীবজন্তুর সঙ্গে তুলনা করেছেন আসলাম। শুধু ফেসবুকই নয়, এই পোস্ট তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপেও।
সিন্ধ প্রদেশের (Sindh Province) লুহানা পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি রমেশ কুমার আসলামের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অবমাননা এবং ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরির (Blasphemy)চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন মীরপুরখাস থানায়। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী জ্ঞানচাঁদ ইসরানি দ্রুত তাঁকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন। তার ভিত্তিতেই আসলাম বালোচকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি হিন্দুদের বাস। ৭০ শতাংশ হিন্দুই (Hindu) থাকেন মীরপুরখাস এবং সীমান্ত লাগোয়া উমরকোট, সাংঘার এলাকায়। এই রকম এক জায়গায় হনুমানকে নিয়ে কটাক্ষ করা হলে স্বাভাবিকভাবেই তা সংখ্যালঘুদের আক্রমণের শামিল। আসলাম বালোচের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরঅ বড়সড় সাম্প্রদায়িক অশান্তির আশঙ্কায় থানার দ্বারস্থ হন পঞ্চায়েতের নেতা রমেশ কুমার। পাকিস্তান পেনাল কোডের ২৯৫ এ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে পাকিস্তান আদালত সূত্র খবর।