তিহাড়ে ‘মন ভাল নেই’ কেষ্টর, আসানসোলে ফিরতে চেয়ে আবেদন, শীঘ্রই হবে শুনানি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিহাড়ে কিছুতেই মন বসছে না বীরভূমের বেতাজ বাদশার! ঘরের ছেলে কেষ্ট ফিরতে চান ঘরেই। তিহাড় থেকে আসানসোলে ফিরতে চেয়ে আদালতের দারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেছেন শাসক দল তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। আগামী মাসে তাঁর আবেদনের শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।’

অনুব্রতর ১৩ দিনের জেল হেফাজত শেষের দিনই এই আবেদনের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। শনিবারই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এই আবেদন জমা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। আদালতকে তিনি অনুরোধ করেছেন, তিহার নয়, তাঁর মক্কেলকে যেন পুনরায় আসানসোল জেলেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কেন হঠাৎ তিহাড়ে মন টিকছে না অনুব্রত মণ্ডলের? 

anubrata mondal new

এ বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্টে কারণ জানা যায়নি। আগামী ৩ এপ্রিল বিচারপতি রঘুবীর সিংয়ের বেঞ্চে শুনানি রয়েছে এই মামলার। মনে করা হচ্ছে, তখনই স্পষ্ট কারণ জানা যাবে। অনুব্রত মণ্ডলকে বর্তমানে ১৩ দিন তিহাড় জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩ এপ্রিল সেই মেয়াদ শেষ হবে। সেদিনই তাঁর আসানসোলে ফেরার মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। 

অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে রয়েছেন ৪ দিন হল। কিন্তু এই কয়েক দিনেই নিজের রাজ্যের জন্য মন কেমন করছে কেষ্টর। আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে গত ৭ মার্চ দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। কিছুদিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

তারপর গত মঙ্গলবার তাঁকে ১৩ দিনের জেল হেফাজত দেয় রাউস অ্যাভিনিয় আদালত। আপাতত তিহাড়ের ৭ নম্বর সেলে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। তারপর থেকে পেরিয়েছে মাত্র ৪ দিন। এর মধ্যেই সেখানে আর থাকতে না পেরে আদালতের দারস্থ হয়েছেন এই নেতা। উল্লেখ্য, তিহাড় যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি। এছাড়াও বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষাও বোঝেন না বলে জানিয়েছেন। সেই কারণে তাঁর জন্য দোভাষীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অসুস্থ বোধ করলে দোভাষীর সাহায্য নিতে পারেন বলে জানিয়েছে আদালত। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর