বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে ডিএ (DA) ইস্যু নিয়ে উত্তাল বঙ্গ। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ। গতকালই আন্দোলনের জেরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। অন্যদিকে, এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতেই আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগলে ময়দানে নামার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
প্রসঙ্গত, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের বার্তা সকলের মধ্যে পৌঁছে দিতে এক বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল শুভেন্দুর বিধানসভা নন্দীগ্রামে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আগামী বুধবার ডিএ আন্দোলন মঞ্চের কিছুটা দূরত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু।
কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “কলকাতায় সভা করার অনেক জায়গা ছিল। ব্রিগেডে সভা হতে পারত। যদি কোনও আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগে, তাহলে বিরোধী দল হিসাবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামব।”
অন্যদিকে, থেমে থাকেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। নবান্ন তরফে দেওয়া সমস্ত শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলার বার্তা দিলেন এই বিজেপি সৈনিক।আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, “সব শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলে দিন। সসমস্ত আইনি সুরক্ষা আমরা দেব। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা সার্ভিস ব্রেক হতে দেবো না। আপনারা আপনাদের লড়াই চালিয়ে যান।”
প্রসঙ্গত, দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিএ আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ। একদিন আগে অনশন তুলে নিলেও ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। অরাজনৈতিক সংগঠন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে কিছুদিন আগে একদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তারা। যা নিয়ে যথেষ্টই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য।
এই ধর্মঘটের বিরুদ্ধেই বিশেষ পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে আজ প্রথমবারের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলায় পা রাখলে তার দ্বারস্থও হতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য আন্দোলনের উত্তাপ আরও বেশ কিছুটা বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।