চিরকুটে চাকরি CPM নেতা সুশান্ত ঘোষের পরিবারের একাধিক সদস্যের! ভাইরাল তালিকা ঘিরে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সরকারের আমলে হওয়া নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। তাতে এখন আবার যোগ হয়েছে বাম আমলে ‘চিরকুটে’ চাকরি প্রসঙ্গ। সিপিএম (CPM) জামানায় হাজার হাজার চাকরি চিরকুট সুপারিশে হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। তবে এই বিষয়ে কিছু জানেননা বলেই মন্তব্য করে আসছেন বাম নেতা বিমান বসু। তৃণমূলও ছাড়ার পাত্র নয়, এবার সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের (Susanta Ghosh) পরিবারে চিরকুটে চাকরি তালিকা ভাইরাল! আর তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল বঙ্গজুড়ে। যদিও ভাইরাল হওয়ার তালিকার সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট টিম।

তৃণমূলের দাবি, সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের মামাবাড়ির পরিবারে একাধিক সদস্য সরকারি চাকরি করেন। নেতার এক ভাগ্নে হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান, আর এক ভাগ্নে সেচ দফতরে চাকরি করেন। তার শ্যালক, শ্যালিকাদের প্রায় প্রত্যেকেই সরকারি চাকরি করেন।সুশান্তবাবুর পিসতুতো ভাই, মাসতুতো ভাইয়েদেরও কেউ পরিবহণ দফতরে, কেউ স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করেন।

প্রসঙ্গত, সিপিএম শাসনকালে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সময় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নিজের পরিবার ও আত্মীয়দের অনেককেই ‘সুপারিশে’র ভিত্তিতে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এই সিপিএম নেতা। শুধু তাই নয়, চাকরি প্রাপকদের এমনই একটি তালিকাও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে সুশান্ত ঘোষের এমন ২০জন পরিবারের লোকেদের নাম রয়েছে বলে খবর।

susanta ghosh

ভাইরাল হওয়া সেই তালিকায় আরও দাবি করা হয়েছে, বাম জামানায় স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষের স্ত্রী। বোনরাও বেশিরভাগ সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। শুধু তাই নয় বোনেদের পাশাপাশি তাদের স্বামীদেরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো–অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‌এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু সিপিএম নেতারা ইদানীং বড্ড লাফালাফি করছে। লাল পতাকার তলায় লুকিয়ে সিপিএম যে কত দুর্নীতি করেছে সেটা বোধহয় দলের নেতারা ভুলে গিয়েছেন। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য আবেদন জানাব। কেমন করে চাকরি হয়েছে সেটা জনগণের জানা প্রয়োজন।’‌

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর