বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি কাটিয়ে ফেলেছেন লম্বা একটা সময়। আসল পরিচয়ে নয় বরং দর্শকদের কাছে ‘সিরিয়াল কিসার’ নামেই পরিচিত তিনি। আসা করছি বুঝতেই পারছেন আমরা কার কথা বলছি। হ্যা ইমরান হাসমির (Emraan Hashmi) কথাই বলছি। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই রাতারাতি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান তিনি। তবে জানেন অভিনয় নাকি পছন্দই ছিলনা তাঁর।
২৮ সে মার্চ ১৯৭৯ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন ‘সিরিয়াল কিসার’। সেখানেই বড় হয়ে ওঠেন তিনি। অভিনেতার বাবা সইদ আনওয়ার হাশমি পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী। তবে বলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যায়, তাঁকে নাকি দেখা গেছিল ‘বাহারোঁ কি মঞ্জিল’ ছবিতে। ১৯৬৮ সালে বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।
এমনকি ইমরানের ঠাকুরমা মেহেরবানো মহম্মদ আলি সরাসরি ভাবে যুক্ত ছিলেন অভিনয়ের সঙ্গে। তবে আসল নাম নয় অভিনয় জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন পূর্ণিমা নামে। একটা সময় বলিউড জগতে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। জানা যায়, প্রথমবার বিয়ে হলেও সেই বিয়ে টেকেনি তাঁর। এরপর প্রযোজক-পরিচালক ভগবান দাস বর্মার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী।
তবে এখানেই শেষ নয়। অভিনেতার ঠাকুরমার বোন শিরিন মহম্মদ আলি যুক্ত ভাট পরিবারের সঙ্গে। পরিচালক মহেশ ভাট এবং মুকেশ ভট্টর মা তিনি। অর্থাৎ সম্পর্কে মহেশ ভাট ইমরানের কাকা। এবং আলিয়া ভাট, পূজা ভাট সম্পর্কে তাঁর তুতো বোন। ভাট পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই তাঁর নামের পাশে লেগেছে ‘ইন্ডাস্ট্রি চাইল্ড’ তকমা।
তবে ছোটবেলা থেকে অভিনয় নাকি একেবারেই পছন্দ ছিলোনা অভিনেতার। বরং তিনি বেছে নিয়েছিলেন পরিচালকের কাজ। কাকা মহেশ ভাটের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে সম্পাদনার কাজ সামলেছিলেন ইমরান। কাজ করেছেন সহ পরিচালক হিসেবেও।
কিন্তু মহেশ ভট্ট তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন এক অভিনেতাকে। আর কাকার কথা শুনেই অভিনয় জগতে পা রাখেন ইমরান। ‘ইয়ে জিন্দেগি কা সফর’ ছবিতে আমিশা পটেলের বিপরীতে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে বদলে ফেলা হয় সেই ছবির অভিনেতাকে। বিক্রম ভাট পরিচালিত ছবি ‘ফুটপাত’-এর হাত ধরেই শুরু হয় তাঁর অভিনয় সফর।
প্রথম ছবিতে কাজ করেই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেতা। বলা বাহুল্য এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তবে তাঁর জনপ্রিয়তার পেছনে যে মহেশ ভাটের হাত রয়েছে সে কথা স্বীকার করেছেন অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘মহেশ ভাট না থাকলে আমি অভিনেতা হতেই পারতাম না’।