বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ থেকে ২৯ বছর আগে বিহারের (Bihar) ভোজপুর জেলার একটি মন্দির থেকে চুরি হয়ে যায় ভগবান হনুমানের মূর্তি (Hanuman Idol)। এরপর পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। কিন্তু বহুদিন যাবত সেই মূর্তি পড়েছিল থানার মালখানায়। অবশেষে রামনবমীর আগে সেই মূর্তিটি থানা থেকে ফিরে এল মন্দিরে। ভোজপুর জেলার বারহারা ব্লকের কৃষ্ণগড় থানার মালখানায় অষ্টধাতুর এই মূর্তিটি ১৯৯৪ সাল থেকে পড়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গুন্ডি গ্রামের শ্রী রঙ্গনাথ মন্দির থেকে মূর্তিটি সহ অন্য একটি মূর্তি ১৯৯৪ সালের ২১ মে উধাও হয়ে যায়। এর ঠিক তিনদিন পর অর্থাৎ, ২৫ মে, ১৯৯৪ তারিখে পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামের কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় মূর্তিগুলি। এরপর থেকে ওই মূর্তিগুলি পড়ে থাকে কৃষ্ণগড় থানায়। গুন্ডি পঞ্চায়েতের মুখিয়া (গ্রাম প্রধান) কৃষ্ণ কুমার সিং জানিয়েছেন, দেওয়ানি আদালতের নির্দেশে থানা থেকে মূর্তিগুলি ২৭ শে মার্চ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামের মুখিয়া আরও বলেন, “আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে এই মামলাটির নিষ্পত্তি হয় বিহার রাজ্য ধর্মীয় ট্রাস্ট বোর্ড এবং এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কিশোর কুনালের হস্তক্ষেপে। কিন্তু কেউ দাবি না করায় মূর্তি দুটি পড়ে ছিল মালখানায়। এরপর মন্দিরের পুরোহিত এই মূর্তি দাবি করেন। আদালত বিগ্রহগুলির মুক্তির আদেশ জারি করে। ২৯ বছর পর থানা থেকে আমরা যে মূর্তিগুলি ছাড়াতে পেরেছি এটি আমাদের কাছে আনন্দের বিষয়।”
এই বিষয়ে কৃষ্ণগড় থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) ব্রজেশ সিং বলেছেন, “মূর্তিগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে শ্রী রঙ্গনাথ মন্দিরের পুরোহিতের কাছে।” ব্রজেশ বাবু জানিয়েছেন, মূর্তিগুলি হস্তান্তর করার সময় বিপুল সংখ্যক স্থানীয় মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্রীরামের আর হুনুমান, যেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফলে, রামনবমীর আগেই এমন ঘটনাকে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন।